যুদ্ধের ইতিহাস
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
নাম, মোঃ শাহজাহান হাওলাদার।
জন্ম তাঃ ১/১/১৯৩৭.
পিতার নাম, মোঃ ফজল হক হাওলাদার।
মাতা ঃঃ শামসুন্নাহার।
শিক্ষা ২ য় শ্রেনী।
জন্মস্থান ঃঃ গ্রাম বাজাপ্তি,
থানা - হাইমচর,
জেলা- চাঁদপুর
এন আইডি নং - ৬৭১৬৮৩৯৮৪৫৩৭১
সংসদ আইডি - ০২০৩০৬০১০৭
মন্ত্রণালয়ের সনদ নং - ম-১৩৯৫৮৬
মুক্তি বার্তা নং- ০২০৫০৭০০৫৩
-----------------------------------------------------------------
তার শৈশব কাল বন্ধু বান্ধবদের সাথে খেলা দুলায় হাসি খুশিতে কাটে,
কিশোর বয়স কালে বাবার সাথে ক্ষেত খামারে সময় দিতেন, যৌবন কালে ২০-২১ বছর বয়সে কাট মিস্ত্রী কাজ করতেন তিনি ১৯৬৮ সনে আউব খান সরকার থাকাকালিন সময় এলাকা ভিত্তিক কমান্ডার আবুল পাট্বারির মাধ্যমে তিনি চাঁদপুর আনসার ক্যাম্পে এসে ট্রেনিং গ্রহন করেন এবং সেখান থেকে কুমিল্লা আনসার ক্যাম্পে এসে রাইফেল ট্রেনিং করেন তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন এর সময় নিজ এলাকার বন্ধু বান্ধব নিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন ১৯৬৬ সনের ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৯ সনের আন্দোলন ১৪৪ ধারা ভংগ করে দেশের ভালবাসার টানে দেশ প্রেমি হিসেবে কাজ করে
১৯৭১ সনে মুক্তিবাহিনীতে অংসগ্রহন করেন
তাকে নেত্রিত্ব দেন শহিদ সুবেদার নুর মোঃ গাজি বির বিক্রম, তিনি শহিদ হওয়ার পর নেত্রিত্ব দেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্বপন এবং সৈয়দ আবেদ মুন্সুর তিনি () সেক্টর থেকে যুদ্ধ করেন
তার যুদ্ধ যা দিয়ে সুরু হয় ভারত থেকে আনা ৯ টি রাইফেল ২ টি স্টেনগান ১ টি এলেমজি বেনেট ও অসংখ্য বুলেট এবং হাত বোমা নিয়ে যুদ্ধ সুরু করেন তাদের ক্যাম্প ছিল ৩ টি স্থানে বাখরপুর মজুমদার বারি - বাজাপ্তি চানবক্স কাজি বারি- মোস্তফা সরকার বারি- যুদ্ধের প্রথমে তাহাদের গনসহ যোদ্ধার সংখা প্রায় ৪০/ ৫০ জন ছিল, তার জিবনের কিছু ঘটনা এপ্রিল মাসের শেশে মংগলবার দিন তাদের যুদ্ধ্রত গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে যানা যায় মোক্লেছ কাজি এবং তার ছেলে সহ রাজাকার ছিল তারা স্থানীয় এলাকার মুক্তিবাহিনীর খবরাখবর পাকিস্তান হানাদার বাহিনির কাছে পৌছায় এই খবর জানার পর প্রমান পাইয়া মোক্লেছ কাজি কে হত্তা করা হয় এবং তার ছেলে মুক্তিবাহিনীর কাছে নিজের দোশ শিকার করে আত্তস্মরপন করে,।
নয়ানি হাসিম পাটওয়ারি তার ছেলে হাসান পাটওয়ারি মুক্তিবাহিনীর তথ্য নিয়ে রাজাকারদের কাছে দিত, ও পাকিস্তান হানাদারদের এলাকায় আনার ব্যাবস্থা করত, আমাদের গোয়েন্দা মুক্তিবাহিনীরা তাদের কার্যক্রম লক্ষ করিয়া প্রমান পাইয়া তাদেরকেও হত্তা করা হয়।
আমাদের কাটাখালি বাজারে মুক্তিবাহিনীর নাম করে ৩ জন লোক, নাম মোকলেস ঢালি সহ ২ জন এক হিন্দু লোকের কাছে চাদা আদায় করেন, মোকলেস ঢালি সহ ৩ জন রাজাকার ছিল। তারা মুক্তিবাহিনীর ছদ্দবেসে অন্যায়ভাবে চাদা উঠাত, এবন মুক্তিবাহিনীর খবরাখবর হানাদার বাহিনির কাছে পৌছানর অপরাধে তাদের ৩ জনকে? ধরে এনে গুলি করে হত্তা করে, চাঁদপুর দোকানঘর এর করিম মাঝির বারি থেকে রাজাকার ধরে হাত পা বেধে সেখানকার ওয়াব্দা খালের পানিতে ফেলে টেনে হেছড়ে নৌকার লজ্ঞি দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়।
আমরা প্রায় সময় মেঘনা নদীতে পাকিস্তানি সেনাদের যানবাহনে আক্রমণ করতাম যেমন নেভি শিপ ট্রলার সরকার বাহিনীর মিলিটারি দের সাথে গোলাগুলি হত, ১দিন একটি সরকারি গম ভর্তি ট্রলার আক্রমণ করি প্রচুর গম নিয়ে নেই গম গুলি গরিব মানুষদের দেই আমরাও রাখি এইভাবে সরকারি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করি, আমরা প্রায় সময় মিলিটারির পোশাক পরিতাম যাতে আমাদের যুদ্ধ করতে সহজ হয় এবং তারা বুঝতে পারতনা আমরা মুক্তি বাহিনি,
চাঁদপুর বহরিয়া বাজারের পাশে ছায়েদ মৌলবির বারিতে অনেক রাজাকারের সন্ধান পাই, মেজর সহ আমরা ২৫/৩০ জন মুক্তি বাহিনি রাজাকারের ঘাটিতে আক্রমণ করি তখন সময় রাত ৩/৪ টা আমরা যখন রাজাকারের ঘরে ঢুকি তখন তারা হটাত আমাদের উপর আক্রমণ করে তাদের সাথে হাতা হাতি ও গোলা গুলি হয়, সেখানে আমি শাহজাহান হাওলাদার আহত হইএবং মিজানুর রহমান চৌধুরীর ভগ্নিপতি মারা জায় এবং রাতে ধরা আসামিদের ৭ জন রাজাকার বহরিয়া বাজারে সকাল ৮ টায় মারা হয়, ;চরশোলাদির মুনাফ গাজি
উত্তর আলগির ; সওকত আলি সরদার
বাজাপ্তির ; রজ্জব চকিদার
বিংগুলিয়ার পাটওয়ারি বারির ৩ জন
আমাদের বারির ৫ জন
এবং আর বহু রাজাকারদের মারা হয়
এরকম আর অনেক ঘটনা রয়েছে যা আজো মনে পরলে গা হিম হয়ে জায় সেইসব ভয়ংকর দিনের সৃতি গুলি আজও ভিষন কস্ট দেয়
----------------------------------------------------------------
আমাদের দুরঘটনা
একদিন পাক হানাদাররা আমাদের বারি আসে
আমাকে ধরার জন্য
তারা আমাকে না পাইয়া, কাটাখালির মকবুল সহ আর অনেককে হত্তা করে
ও আমাদের ক্যাম্প চানবক্স কাজির বারিতে আগুন জ্বালিয়ে চলে জায়
সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখে বিকাল ৪/৫ টার দিকে নুর মোঃ গাজি বির বিক্রম এর নির্দেশে আমি, দেলোয়ার হোসেন স্বপন সহ আর অনেকেই রাজাকারের সন্ধানে চরভৈরবি পাঠান এবং ১৮ জন মুক্তি বাহিনি ও১জন রাজাকার সুজন সেখানে বন্দি অবস্থায় মজুমদার বারিতে ছিল।
ওই রাতে আনুমানিক রাত ৩ টায় মজুমদার বারিতে পাকিস্তানি সেনারা ঘেরাও করে ফেলে৷
ও মুক্তিযোদ্ধা দের সাথে এক রক্ত ক্ষয়ি যুদ্ধ সুরু হয়, এই যুদ্ধ শনিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত চলে,
সুবেদার নুর মোঃ গাজি এর নেতৃত্বে ১৮ জন সবাই যুদ্ধ সুরু করেন
উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে আমাদের সুবেদার সহ ১৯ সবাই শহিদ হন। এবং পাকিস্তান সেনাদের ১০/১২ জন নিহিত হন
এই যুদ্ধে পাকিস্তান সেনারা জয়ি হয় এবং সুবেদার নুর মোঃ গাজি এর ডান হাত কেটে নিয়ে যায়। এবং তার চেহারা গুলি করে নস্ট করে ফেলে।
স্বদেশের জন্য তার ষেস অপারেশন ঃঃ
৭১ সনের ডিসেম্বরে মাসের ৯ তারিখে মুক্তি বাহিনি ও মিত্র বাহিনির সাথে পাকিস্তানি সেনাদের দুটি জাহাজে আক্রমণ চালালে পাকিস্তান সেনাদের মেজর আঃ রমিজ সহ বহু পাকিস্তান সেনা আহত হয় এবং অসংখ্য সেনা নিহত হয়।
স্বদেশ জাগ্রত দেশ প্রেমিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের জন্য ভালবাসা এবং হাজারো মা বোনের ইজ্জতের এই মহান স্বাধীনতা আজ আমরা পেয়েছি।
মা হারিয়েছে তার সন্তান,
বোন হারিয়েছে তার আদরের ভাই স্ত্রী হারিয়েছে তার স্বামি সন্তান হারিয়েছে তার পিতা মাতাকে
শহিদ হয়েছে লাখো মানুষ
--------------(জয় বাংলা)---------------