যুদ্ধের ইতিহাস
৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাসন শুনে আমরা মুক্তিযুদ্ধ কি ভাবে কিছুই যানি না আমি তখন আই ই টি স্কুলের ছাএ আমার এক শিক্ষক আইয়ুব আলী মাষ্টার এবং হুদা সার ইসকাউট টেনিং করাতেন তিনি সব ছাএদের রাইফেল কি করে চালাতে হয় তার টেনিং শেখাতে সুরু করলেন বাসের লাঠি দিয়ে শিক্ষা দিলেন প্রতি দিন চলতো আমাদের টেনিং এক সময় আমাদের উপর নেমে আসলো ২৫ ইশে মার্চ কালো রাতে হানাদার বাহিনী পাকিস্তানিরা রাজারবাগ পিলখানা ঢাকা নানান যায় গায় নির অসরো মানুষের উপর হামলায় চালায় সকালে পযন্ত হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরের অনেক যায়গায় রুড ব্লক করে রাখি যাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নারায়ণগঞ্জ শহরের ঢুকতে না পারে পাগলা ফতুল্লা পনচবটি মাসডাল চাষাড়া নারায়ণগঞ্জ শহরের সব রাস্তা বন্ধ করে দেই আমজনতা আওয়ামী লীগ ছাএ লীগ শ্রমিক দিনমজুর কৃষক সবাই একসাথে মিলেমিশে আমাদের যানা নাই কি করে আমরা তাদের প্রতি রুধ করবো নারায়ণগঞ্জ কোট থেকে কিছু অস্ত্র লুট করা হলো আমাদের বড় ভাইয়েরা আমরা তাদের সহযোগিতা করি নাম বলা যায় কিছু ভাইদের যেমন বাবুল সারোয়ার হাজী জহিরুল হক ফটো সাংবাদিক সিরাজ ভাই তখন অনেক বড় ভাইয়েরা ছিলো সবাই কে আমি চিনা নারায়ণগঞ্জ তুলারাম কলজের অনেক ছাএ বড় ভাইয়েরা ছিলো সবাইর নাম যানা নাই আমার ২৬ তারিখ ২৭ তারিখ পযন্ত পরে আমরা টিকতে পারলাম না আমাদের কোন গুলাবারুদ ছিলো না শুধু থ্রি নট থ্রি রাইফেল আর হাতের তৈয়ারী পেতুল বোমা কাচের বোতলের আর কোন হেভি অস্ত্র নাই আমরা টিকতে পারি নাই তাই সবাই চলে আসি নদীপার হইয়ে নবীগঞ্জ সেখান থেকে নতুন করে চেষ্টা করি আমরা এখন কি করবো তখন অন্য চিন্তা করে আমরা ভারতের যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি কি ভাবে আমরা ইন্ডিয়া যাবো কিছু লোক সাথে নিয়ে ৩০ তারিখ পযন্ত অপেক্ষা করি,আমরা একজন লোকের খোজ পেলাম তার নাম সদানন্দ সে হিন্দু আমাদের সাথে কথা হলো তিনি আমাদের কি ভাবে ইন্ডিয়া যাইতে হবে আমার সাথী ১২ হলাম সোনারগাঁও বৌদ্ধারবাজার হইতে লনচে করে যাইতে হবে রাম কৃষ্ণপুর তারপর সেখান থেকে হেটে মুরানগর পীরকাসিমপুর হইয়ে সিদ্দির গনজ মহরানগর থানা হইয়া কোনা বন বডার দিয়া আগরতলা তার কথা মত আমরা ১২ জন চলে গেলাম একরাত একদিন সময় লাগলো কিন্তু দুঃখের ১২ জনের মধ্যে ৮ চলে আসে আমরা ৪ জন তখন আগরতলা কংগ্রেস ভবন যাই সেখানে ৪ দিন অনেক কষ্ট করতে হয় আমাদের খাবার নাই কিছু চিড়া মুড়ি আর গুর পাই সেখান থেকে শুয়া তো দুরের কথা বসার যাগায় পাশে ছিলো পোস্ট অফিস তার সামনে নেতাজী সুবাষবুষ চক্কর সেখানে ঘামালাম চারদিন তার জয়বাংলা অফিসে যাই সামসোজোহা সাহেব আমাদের এম এলে ওনি আমাদের ২০ টাকা করে দিয়ে সেখানে চলে যাও আমরা আবার কংগ্রেস ভবন চলে আসি ২ দিনপর আমাদের আরো অনেক লোক গাড়িতে করে নিয়ে আসে দেবিপুর একটি স্কুলে ২ দিন সেখানে থাকি খাবার কিছু ছিলো না আছে শুধু চিড়ামুড়ি আর গুর পরনে তেমন কোন কাপড় ও নাই এক লুংগি একটা সাট আর গেনজি বিছানার কিছু নাই ছুনবিছাইয়া শুয়ে থাকতাম ৪ দিন পর ভারতীয় সেনাবাহিনী আসে তারা গাড়ীতে করে কোথায় নিয়ে গেলো যানি না সারারাত গাড়ীতে ছিলাম ভোর বেলা দেখি একটা চায়ের বাগান গাড়ি থেকে নামার পর শুনলাম এটা তেলিয়াপাড়া চা বাগান সে খানে অনেক লোক ৫০০/ ৭০০ হবে আমাদের চার ভাগে ভাগ করা হলো এ বি সি ডি চারটা কোম্পানি আলফা বেরেবুও চারলি ডালডা কোম্পানি কিছু সেনাবাহিনী অফিসার তখন চিনি না পরে যানতে পারি একজন এম এ জি ওসমানী একজন খালেদ মোশারফ একজন সি আর দত্ত একজন সফিউল্লাহ মীর শওকত আলী এ টি এম হায়দার আরো কিছু অফিসার অনেকের নাম যানি না। ১০ দিন পযন্ত ভাত কপালে ঝুটে নাই তেলিয়াপাড়া আমাদের টেনিং চালু হলো ১ টা থ্রি নট থ্রি রাইফেল ২০ জন সদস্য ওস্তাদ একজন একটা রাইফেল দিয়ে টেনিং সুরু হলো সকাল বেলা একটা রুটি এক কাচ পেলাম তারপর ওস্তাদ বাসি দিলো সবাই ফলিং হলো ফলিং সবাই বুঝবে না বাসি শুনে সবাই যার যার গুরুপে লাইনে দাড়ালাম কিছু নিদেশ দেওয়া হলো চার টা কোম্পানি একসাথে হবার পর অফিসারা আসার পর আমাদের প্রথম কোরান তালোয়াত তারপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হলো তারপর আমাদের সপথ করা আমরা নিজের জীবন দিয়ে আমাদের দেশকে সাধীন করবো কোরানশরীফ ও জাতীয় পতাকা দিয়া সপথ শেষ হলোকিছু পিটি প্যারেড করে রাইফেল টেনিং আরামভো হলো এক ঘন্টা পর ১০ মিনিট সময় রেস্ট করে আবার সুরু টেনিং এই ভাবে ১২ টা পযন্ত শেষ হলো দিরঘ ১০ দিন ভাত চোখে দেখি নাই শুধু চিড়ামুড়ি আর গুর খেয়েছি অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা পালিয়ে চলে যায় খুদার জালায় খাবার নাই ১০ দিন গোছল করি নাই আজ আমাদের জন্য ভাত রান্না হলো ড্রামের মধ্যে ভাত রান্না করা হলো আর মুঘের ডাল চোকলা সহ আতপ চাউলের ভাত ভালো করে সিদ্ধ হয় নাই ভাতের অনেক পোকা আছে সাদা সাদা যা বলা বড় কঠিন কিন্তু আর কোন পথ নাই আমাদের মুতৃঃভুমি রক্ষা করতে হবে লবন নাই খাবার পানি নাই,শুওয়ার বিছানা নাই একটা লুংগি পরে থাকতে হয় কিন্তু আমাদের বলনো বল ছিলো শক্তি শালি আমাদের দেশ মা কে হানাদারদের নৃশংসতা থেকে রক্ষা করা অন্য কিছু মনে ছিলো না যাই হউক খাবার পর এক ঘন্টা রেষ্ট আবার টেনিং সুরু চার টা পযন্ত শেষ করে পরে আবার লাইনে দাড়ালাম রাতে কি ভাবে ডিউটি করতে ছয়জন করে একসাথে ডিউটি দুই টা রাইফেল আর হাতে গেনেট থাটিসিক দুই ঘন্টা পর আর একগুরুপ সকাল হলো নাস্তা করে আবার প্রতি দিনের মতো সেই টেনিং তিন পর বিকট শব্দ আমাদের ক্যামপের পাশে আটিলারির গোলার এসে পরলো একটা নয় দুটু নয় পাচ মিনিট পর পর আসতে লাগলো পাশে ছিলো তখনকার পাকিস্তানের ই পি আর ক্যামপ সেখান গোলা আসতে সুরু করলো আমরা বেঙ্গকারে পজিশে আছি জীবন রক্ষার জন্য আমাদের তখন কোন বাড়ি অস্ত্র ছিলো না কিছু পর বন্ধ হলো আমাদের আবার লাইনে দাড়াতে হলো অফিসারে বক্তব্য দিনে যখন বাসি দেওয়া হবে তোমরা লুকিয়ে যাবে শেষ আবার সুরু হলো টেনিং ছয়দিন পর হঠাৎ মটারের গোলা আসতে লাগলো সে দিন আমাদের অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাই শহিদ হলো তেলিয়াপাড়ায় গোলা বন্ধ হবার পর আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের দান করা হলো সেখানে আমাদের লাইনে দাড়াতে হলো পরে ইন্ডিয়ান সেনা বাহিনী আমাদের এখান থেকে ভীতরে নিয়ে গেলো আধা কিলোমিটার কিন্তু একদিন পর আবার সেই গোলার শব্দ গোলা আসতে লাগলো আমরা আর টিকতে পারলাম না আর ভীতরে চলে গেলাম সেনাবাহিনীর ক্যামপে তেলিয়াপাড়া আমাদের হাগ থেকে চলে গেলো রক্ষা করতে পারলা না তেলিয়াপাড়া বাংলাদেশের একটা অংগ সিলেট চা বাগান আমাদের ভারতের সেনা বাহিনী নিয়ে কান্টরমেনট যায়া করে দিলো এক বেলার খাবার খেলাম রুটি আর বাজি রুটি দেখে চোখে পানি আসলো কারন রুটিতে কালো কালো পোকা কিন্তু কিছু করার নাই দুর গন্ধ কি আর করবো খেতে হলো একটু চা পান করে রেষ্ট করার পর আমাদের অন্য কোথায় নেওয়ার জন্য তারা আলোচনা করতেছে যাই হউক দুপুরে খাবার সেই খাবার যা যে খাবার মানুষ তো দুরের কথা কোন জীব জানোয়ার খাবে কি না সন্দেহ আছে কিন্তু আমাদের যে আর কোন পথ নাই কষ্ট করে খাইতে হলো চোখের পানি আর খাবার একসাথে সন্ধার পর কিছু সেনাবাহিনীর গাড়ি আসলো ৭০ জন করে এক এক গাড়ীতে উঠার জন্য উঠে বসলাম সারারাত গাড়ীতে ছিলাম ভোরের কিছু আগে রেস্ট করার জন্য ঝংগল আর ঝংগল পাহাড়ের টিলার উপর দুই ঘন্টা রেষ্ট করে আবার চলা সুরু হলো গাড়ী চলতে লাগলো। ও হা কিছু কথা বলা হয় না আমাদের গ্রামের তিন জন আমার এক মামা আঃসোবহান বাড়ি কাইতাখালী বাবার সুলতান আহাম্মদ আর একজন আমার দোস্ত আঃ বাসেত তার বাবার ওয়াহিদ মুন্সি আসল বাড়ি তার সোনারগাঁও পানাম কিন্তু সে থাকতো আমার বাড়ির পাশে নবীগঞ্জ আর সবাই অন্য অন্য যায়গার কিন্তু মনে তখন আমরা সবাই এক মায়ের সন্তান কোন ভেদাভেদ ছিলো না সবাইর একই সপ্ন সোনার বাংলা সাধীন কি করে হবে আর কোন চিন্তা চেতনা ছিলো না সপ্ন একটা ও আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালো বাসি জীবন দিয়ে রক্ষা করবো তোমায় তুমি যে আমার জন্ম ভুমি জয় আমাদের ছিনিয়ে আনতে হবে তা ছাড়া আর কোন পথ নাই আমাদের আমরা এখন না বাংলাদেশী না ভারতবাসী আমাদের কোন কিছুই সপথ করেছি হয় দেশ সাধীন করবো না হয় মরবো জয় করে আমাদের সোনার বাংলায় আবার ফিরে আসবো। হে আর একটা কথা বলবো যা হয়তো তোমাদের যানা প্রয়োজোন মুক্তি যুদ্ধে শুধু গরীব কৃষক শ্রমিক দিনমজুর আর কোন মানুষ যায় না হয়তে তোমরা বড় লোকের সন্তান যুদ্ধ করেছে কিন্তু না কিছু ছিলো যাদের দেশ প্রেম ছিলো স্কুল মাষ্টার মধ্যে বিও আর বেশির ভাগ মানুষ ছিলো গরীব দুখি মেহনতি মানুষের সন্তান বেশি লেখা পড়া ছিলো না কিন্তু বড় একটা মন ছিলো যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক তারাই যুদ্ধে গিয়াছে যারা মা মাটি আর মানুষ কে ভালো বাসতো আমরা চোখে দেখি মা বোনদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে গেছে কবুতরের মত হত্যা করেছে আমি আর ঘরে বসে থাকতে পারি নাই হয় মরবো না হয় যুদ্ধ করে দেশ সাধীন করবো তোমরা এই দেশ কে ভালো বাসো এই দেশ কারো দানে নয় রক্ত দিয়ে কিনা বাংলা আমার অহংকার আমি বাংলার বীর সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা পরে আর কিছু লিখবো বয়স হইয়েছে চোখে দেখি না তেমন আমরা তোমাদের কাছে রেখে গেলাম রক্ত দিয়ে কিনা বাংলা দেশ আমাদের কথা কেহ বলে না সবাই আজ ভুলে গেলে সেই দিনের কথা কি করে এই দেশ সাধীন হলো আমি সব কিছু বলো তোমাদের কাছে যদি পারো তোমরা আমায় ভালো না বাসো দুঃখ নাই আমার কিন্তু মূতুঃর পর একটি ফুল দিও আমার কবরে শান্তি পাবো আমি মরে যা পাইনি পেয়েছি তোমাদের হাতে একটি ফুল যাতে শান্তি পাই কবরে আবার আসিবো তোমাদের মাঝে প্রতি বছর বিজয়ের দিনে সাধীনতার দিবসে তোমাদের কাছে সম্মান করে আমাদের দিয়েছি তোমার বুকের তাজা রক্ত পিছ পা হই নাই আমি বীর আমি বীরু না কাপুরষ না আমাদের একজন বীর সন্তান মা গো সাধীন করেছি কিন্তু সোনার মানুষ তোমায় দিয়ে যেতে পারি না দুঃখ করো না তুমি আছে শত কোটি সন্তান বয় নাই মা তোমার বুকে লক্ষ লক্ষ সন্তান কিছু লিখাম তোমাদের জন্য দেওয়ার যে আর কিছু নাই তোমাদের দিয়ে গেলাম সাধীন একটা দেশ একটা লাল সবুজে পতাকা আর জাতীয় সংগীত তোমরা বুকে রাখিবে যতন করে দুঃখ দিওনা তোমরা আমার সোনার বাংলা মা কে জয় আমাদের হবে। আবার চলা সুরু হলো পথ দুই দিন দুই রাতে গাড়ীতে মাঝে মাঝে দুই টা রুটি আর বাজি খেলাম এক রাতে ঝংগলে নামানো হলো হয় রাত ২ টা সময় হবে তখন পাহাড়ের টিলার উপর ঘুমিয়ে পরলাম সকালে আবার বাসি বেজে উঠলো লাইনে দাড়াতে হবে যার যার কোম্পানিতে অডার আসলো এই পাহাড় পরিস্কার করে আমাদের তাবু টানাতে হবে সবাই মিলে মিসে কাজ সুরু হলো সারাদিন তাবুর কাজ শেষ কিন্তু খাবার কিছু ছিলো না রান্না করতে হবে নিজেদের ১০ জন করে রান্নার জন্য ভাত আর সবজি কোনো মতে রান্না শেষ এবার খাবার পালা কিন্তু পানির খুব কষ্ট পাহাড়ের নিচে গিয়ে পানি আনতে হবে আমাদের কোন পানির পাএ ছিলো না মোটা মোটা বাস কেটে বাসের ভীতর ছিদ্র করে পানি আনার জন্য পানি ভরে রাইফেলের মত রশি বেদে কাদে নিয়ে আবার পাহাড়ের টিলার উপর যাইতে হবে আর যে কোন উপায় নাই আমাদের খাবার শেষ করে এখন ঘুমাবো বয় সাপ আর জীব জানোয়ারের বয় ঘুম আসে সারা রাত এই ভাবে চেলে গেলো সকালে জিগ্যেস করলাম এই যায়গার নাম কি ইন্ডিয়ান সেনা বাহিনী অফিসার বলে এই যায়গার নাম ওমপি নগর শুধু পাহাড় আর পাহাড় ঝংগল ছাড়া আর কোন কিছু নাই এই ভাবে আমাদের টেনিং সুরু হলো দেড় মাস পযন্ত টেনিং শেষ করলাম এস এল আর গেনেট আর কিছু এস পলসিব দিয়ে টেনিং শেষ কত কষ্ট করেছি দেড়মাস যা বলা বড় কষ্ট আর অনেক কঠিন যা চোখে না দেখলে বুজা মুশকিল এই দেড় মাসে আমাদের সহযোদ্ধা ভাই চার জন মারা গেছে সাপরে কামড়ে যার চিকিৎসা এখানে ছিলো না তাদের এখানে কবর দিতে হলো এখন আবার যেতে হবে আমাদের যুদ্ধের জন্য গাড়ীতে উঠার জন্য সবাই তৈয়ার হলাম আবার সপথ করানো হলো নিজের এক বিন্দু রক্ত থাকা সত্যের দেশের জন্য জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করতে হবে এবার গাড়ীতে উঠলাম আমাদের নিয়ে সেক্টর ২ নং মেলা ঘর আগরতলা গাড়ি চলতে লাগলো সকালে গাড়ি ছারার পর সন্ধ্যা হলো কিন্তু এখনো পৌছাইতে পারি নাই ২ নং সেক্টর মেলা ঘর গাড়ীতে আছি রাত ১২ টায় সময় গাড়ি থামলো একঝংগলে আমাদের ঢুকতে দিলো না রাতে সকালে আমাদের ঢুকতে দিবে কিছু করার নাই কমান্ড মানতে হবে কারন এখন আর আমরা সিভিল নাই বীর মুক্তিযোদ্ধা কমানের বাহিরে কোন কাজ করা যাবে অপেক্ষায় করতে করতে ঘুমিয়ে পরলাম কখন ভোর হলো বুঝতে পারি নাই। সকালে উঠে সবাই কে লাইনে দাড়াতে হলো কিছু খন পর একজন অফিসার আসলো দেখে চিনতে পারলাম ওনি এ টি এম হায়দার বীর উওম তিনি কিছু কথা বলতে লাগলো তোমরা সবাই দেশের জন্য জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করতে এসেছো একটা কথা মনে রাখবে তোমরা যত কষ্ট হউক ডিসিপিলিন নষ্ট করতে পারবে না হয়তো খাবার সমস্যা হতে থাকার সমস্যা হতে আরো অনেক কিছু হতে পারে কিন্তু তোমরা কোন অশান্তি করতে পারবে যদি কোন অসুবিদা হয় তোমার যে গুরুপ কমান্ডার থাকবে সে সব কিছু আমাদের সমাধান করে আর যদি কারো কোন অসুবিধা হয় থাকতে পারবে না সে খুশি খুশি বাড়ীতে চলে যেতে পারো কেহ আছো বাড়ীতে যাওয়ার জন্য এগিয়ে আসো কেহ আসে সবাই একসাথে আওয়াজ তুলে বলে উঠলো জীবন দিবো আমরা বাড়ীতে যাবো না জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে চিতকার সুরু হলো তিনি খুশি হইয়ে বলিলেন তোমরা সবাই এক লাইনে সিংগেল করে দাড়িয়ে যাও সবাই দাড়িয়ে গেলাম তিনি তখন বলে উঠলেন আজ হয়তো খাবার একটু সমস্যা হতে পারে কারন ৫০০ লোক একসাথে রান্নার সমস্যা হতে পারে তোমরা ধয্য দরে সব কিছু মেনে নিবে আমরা আগামীকাল লংগরখানা ভাগ করে দিবো তখন আর কোন অসুবিধা হবে না ওকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে সবাই কে ভিতরে ঢুকিয়ে দিলো সবাই মাঠ একটু অপেক্ষা করতে হবে ওকে ইয়েস স্যার সবাই গিয়ে মাঠে যার যার কোম্পানির সাথে বসে আছি কিছু খন পর চা আর একটা পুড়ি সবাই কে দিলো খাওয়ার পর একটু রেস্ট করতেছি তখন প্রতি কোম্পানি হইতে পাঁচ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে গেলেন আর সবাই কে বসে থাকার জন্য বলে গেলেন তাদের নিয়ে লংগরখানায় সাহায্য করতে হবে লাকড়ি সংগ্রহ করতে হবে পানি আনতে নানান কাজে সাহায্য করতে সবাই মিলে মিসে কাজ সুরু হলো রান্না শেষ হলো খাবার জন্য সবাই কে ডাকা হলো খাবার শেষ হলো আজ আর কিছু করতে হবে না বিকেলে সবাই কে ভাগ করা হবে ঢাকা কুমিল্লা নোয়াখালী আংশিক ভাগ করে দিবো ওকে স্যার সবাই আরাম করতে শুইয়ে আছি মনে রাখবে তোমরা এই এরিয়ার বাহিরে কেহ যাবে না ৫ টার পর অফিসার আসলো তিনি বলেন আমি বলি তোমরা তাই করবে প্রথম ঢাকার যারা ডাইন সাইডে আসো ঢাকার সবাই বাহির হলাম ঢাকা কোম্পানি এক নং তাবুতে নিয়ে যান সবাই চেলে গেলাম কুমিল্লা চলে গেলো নোয়াখালী চলে গেলো কিন্তু আজ সবাই একসাথে খাবার খাবে বিকালে প্রতি কোম্পানি পাচ জন করে লোক লংগরখানায় দিতে হবে রাতে খাবারের জন্য ইয়েস স্যার রাতে খাবার শেষ হলো তার নাম লেখা সুরু হলো সব লেখা শেষ হলো এখন প্রতি কোম্পানি হইতে ১০ জন করে ডিউটি দিতে হবে রাতে যারা আজ ডিউটি করবে কাল তাদের ডিউটি হবে না কিন্তু রাতে কেহ বাহির হবে না বাহিরে আসলে পাচওয়াড যেনে বাহিরে আসবে পাচওয়াড ছাড়া বাহির হলে সমস্যা হবে হয়তো গুলি করে মারতে পারে সবাই ঘুমিয়ে পরলাম। পরদিন সকালে আবার শুরু হলো পিটি প্যারেড ১ ঘন্টা পর নাস্তা করে টেনিং শুরু ২ ঘন্টা পযন্ত আমরা কি দেড়মাসে কি কি টেনিং করেছি তার কিছু নমুনা দেখালাম ভারতীয় সেনাবাহিনীর টেনিং আর আমাদের বাংগালী টেনিং মিল আছে কিনা না দেখা হলো আমাদের নতুন করে কিছু কৌশল শিখানো হলো যাকে আমরা বলি গেরিলা যুদ্ধের সময় আমাদের কিকি পথে কখন কি কি করতে হবে কিছু এসপলোসিব কোথায় কি করে ব্যবহার করতে হবে শিখানো হলো ব্রিজ কি করে উড়াতে হবে কোথায় কি ভাবে মাইন লাগাতে হবে কোন ব্রিজে কত টা মাইন লাগাতে হবে কত দুর গিয়ে তা উড়াতে হবে ডেটোনেটার কোথায় কি ভাবে লাগাতে অরেসন কিউর তার যে তার এক সেগেনটে আগুন জলবে তাও শিখানো হলো এই ভাবে পনরো দিন টেনিং শেষ করে প্রতি দিন নানান কৌশল শিখানো হলো টেনিং শেষ হলো তার পর শুরু হলো যুদ্ধ কালিন সময় কি কি করতে হবে দিনে কি ভাবে এবং রাতে কি ভাবে নানান কৌশল শিখানো হলো এস এল আর এস এম জি এল এম জি টু ইঃ মটার আর আর লেমপুট মাইন কখন কোথায় লাগাবো শিখানো হলো এখন যুদ্ধে যাবো অনেক আনন্দ হইতেছে আজ আরো কিছু কথা বলবো আমাদের বড় একটা শক্তি ছিলো আমাদের সোলোগান জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শরীলের রক্ত গরম হইয়ে যেতো জয় বাংলার গান চলতো সাধীন বাংলা রেডিওতে দেশাত্মবোধক গান চরম পএ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাসন আরো রক্ত ঝড়ানো অনেক কিছু শরীলের রক্ত তখন টগবক করতো আমার অনেক আনন্দ লাগতো আমি বাংলার মাটিতে যুদ্ধের যাবো পাকিস্তানিদের গুলি করে হত্যা করবো আমাদের প্রতিশোধ নিবো আমার দেশকে সাধীন করে হানাদার মুক্ত করো নিজে বাচবো আর দেশের মানুষ কে বাচাবো অনেক আনন্দ বোদ করতেছি আর সয্য হয় পাগলে মত হইয়া গেলাম যুদ্ধের জন্য। পর সকালে সিদ্ধান্ত হলো বাছাই করা হবে ঢাকা বিভাগ কে নারায়ণগঞ্জ ঢাকা সোনারগাঁও আড়াইহাজার রুপগনজ নরসিংদী সাভার ফরিদপুর একঅংশ মুন্সি গনজ সব ভাগ করা হলো ছোট ছোট গুরুপ করা হয় পরে সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশারফ তিনি কিছু বক্তব্য রাখলেন দিকনির্দেশনা দিলেন কি ভাবে কোথায় যুদ্ধ করতে হবে হঠাৎ একরাতে এসে বলে আজ কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধা অপারেশনে যাবে বডারে আমার গ্রুপের প্রথম চাপ জন সব গুরুপ থেকে চার জন মোট এিশ জন দুই টা এল এম জি একটা মটার কিছু রকেট লেনসার আর এস এম জি আর এস এলার কিছু গেনেট অপেক্ষায় আছি অনেক আনন্দ হইতেছে সময় কাটে না রাত ১০ টার সময় আমাদের গাড়ীতে করে নিয়ে গেল তা কোথায় যানি না কিছু দুর যাওয়ার পর গাড়ীর হেট লাইট বন্ধ করে দিলো আস্তে আস্তে গাড়ী চলতে লাগলো কিছু খন যাওয়ার পর সবাই কে নামিয়ে দিলো এখন হেটে হেটে যেতে হবে কিন্তু সবাই একটু দুর দুর চলতে হবে আধা ঘন্টা হাটার পর সবাই কে বসিয়ে দিলো কি ভাবে কে কোথায় পজিশন নিবে বলে দিলেন আমাদের সাথে যুক্ত হলো কিছু সেনাবাহিনীর লোক সবাই আমাদের বাংলাদেশী একজন সেগেন্ ল্যাবটানেন নাম যানি আমাদের সবাই কে পজিশান নিতে বসিয়ে দিলো কেহ কথা বলবে না নরাচড়া করবে না সিগারেট জালাবে না সারারাত অপেক্ষায় আছি ভোরের দিকে সবাই রেডি হও অডার না দেওয়া পযন্ত কেহ গুলি করবে না সকাল হলে বুঝতে পারলাম আমরা আছি ভারতের ভীতর আমাদের সামনে তিনশত গজ দুর বাংলাদেশ দেখে খুব ভালো লাগলো সামনে ধান ক্ষেত এক বলে ওটা কসবাথানা এরিয়া আমরা অপেক্ষায় আছি হঠাৎ অফিসার বলে এল এম জি থেকে ফায়ারিং শুরু করো এক ম্যাগজিন গুলি করা হলো আবার বন্ধ কিছু খন ওপার থেকে গুলি শব্দ আসতে লাগলো আমাদের অপেক্ষা করতে বলে কিছু গুলি আসার পর ওপার বন্ধ আমাদের এখান থেকে আবার গুলি শুরু হলো কিছু গুলি করার পর সেখান থেকে আটিলারিরীর গোলা আসতে লাগলো স্যার অপেক্ষা করতে বলে আমাদের কাছাকাছি দুই টা গোলা আসলো অনেক খানি দুর আবার বলা হলো সবাই অপেক্ষা করো কিছু খন পর পর গুলি শব্দ একটু সুয উঠার অপেক্ষায় আছি আমরা কিন্তু আমাদের কোন ক্ষতি হয় নাই আধা ঘণ্টা পরে ওপারে কিছু লোক চলা ফেরা করতে দেখা যাইতেছে আমাদের কমান্ডার সাহেব দুরবিন দিয়ে কিছু দেখার চেষ্টা করতেছে হঠাৎ সাহেব অডার দিলেন সবাই একসাথে ফায়ারিং শুধু করো ২০/৩০ মিনিট পর বন্ধ করতে বলে কিন্তু ওপার থেকে আর কোন শব্দ আসে না কিছু খন একজন লোক আসে সাহেবে সাথে কথা বলে চলে যায় সাহেব পাকিস্তীনিরা পিছনে চলে গেছে আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে নয় সময় আর এক গুরুপ আসে আমাদের চলে যেতে বলে তারা এখানে এমবোস করবে আমরা সবাই চলে আসলাম মেলা ঘর ক্যামপে অস্ত্র জমা দিয়া হাত পা দুইয়া নাস্তা করে সবাই রেস্ট করি। পরদিন সকালে আবার আমাদের শুরু হলো প্রথম জাতীয় সংগীত গাওয়া হলো তারপর জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ধনিতে আমাদের চলার পথে এমন করে কিছু কিছু করে সমুখ যুদ্ধ ১২/১৪ টা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি যে মতিনগর বিবির বাজার বেলুনিয়া চৌদ্দগ্রাম তার বড় যুদ্ধে অংশ নিলাম সালদা নদীর পার ১৫ দিন ছিলাম সমুখ যুদ্ধে আমাদের সাথে বডার সাইডে সালদা নদী আর ও পারে কুমিল্লা ক্যানটেরম্যান প্রতি দিন যুদ্ধ চলতো আমাদের তাদের সাথে পরে আবার আমরা চলে আসি মেলা ঘর আগষ্ট মাসে নতুন করে গুরুপ তৈয়ার হলো যাদের বাড়ি নদীর পাশে সাতার যানে নতুন করে নৌকমান্ডো তৈয়ার হলো তার মধ্যে আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে যোগ দিলাম ৮ জন আমি হাজী লিয়াকত আলী নুরে আলম হাজী আইয়ুব আলী আবু বক্কর সিদিক আঃ সোবহান আবু হোসেন সিদ্দিক আর এক সোবহান বাড়ি নারায়নগঞ্জের আকবর আলী বাড়ি তল্লা আমাদের নতুন করে টেনিং শুরু হলো নদীতে নদীর নাম রুদ্র সাগর বলে প্রতি সকাল হতে ২ টা পযন্ত পানিতে সাতার এবং পানির নিচে ডুব দিয়ে কতখন থাকা যায় আমাদের কোন অক্সিজেন সেলেনডার ছিলো না এই ভাবে পানিতে টেনিং করতে হতো দুই মাস দিনে রাতে টেনিং চলতো আমাদের জাহাজে কি করে মাইন লাগাতে হবে ব্রিজে মাইন লাগানো নানান কৌশল শিখানো হলো আমাদের ওস্তাদ ছিলো মেরিন কমান্ডো আবদুল গফুর এবং এ টি এম হায়দার বীর উওম আমাদের নৌকমান্ডো কোম্পানি কমান্ডার তার নিদর্শে সব কাজ কর্ম চলতো আমাদের শুরু হলো নতুন করে যুদ্ধের তৈয়ারি ১০ গেরিলা দুই তিন জন করে নৌকমান্ডো সাথে নিয়ে নানান যায়গায় ছোট ছোট অপারেশন প্রথম অপারেশনে আমাদের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাই শহিদ হলো কুমিল্লা মুরাদ নগর থানা এরিয়ায় তার নাম শহিদ আবু বক্কর সিদ্দিক আমাদের নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা ঘারমোড়া তার বাড়ি সাথে আবু হোসেন সিদ্দিক আরো ১৫ জন কিছু আহত হয় সবাই ফিরে আসি মেলা ঘর কিছু দিন আমাদের রেস্ট করার জন্য কিন্তু নানান যায় গায় আমাদের যুদ্ধ চলতেছে নতুন করে কিছু শিখানো শুরু আরো অনেক কষ্টের টেনিং করতে হলো যা ভাষায় প্রকাশ করতে কষ্ট হয়। এখন প্রতি দিন ৮ ঘন্টা পানির নিচে কি করে থাকা যায় তার জন্য আমাদের বন্ধু দেশ রাশিয়া থেকে নৌকমান্ডোর কিছু আদনিক সরমজাম জিনিস পএ আনা হলো অক্সিজেন সেলেনডার পানিতে থাকার পোশাক সিলিপার ফিলটার একমাস টেনিং শেষ হলো তখন নভেম্বরে শেষের দিকে যুদ্ধ তখন আমাদের অনেক জুলালো ও শক্তি শালি হতে লাগলো বাংলাদেশর চারদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের ভীতর ঢুকে মরনপনে যুদ্ধ লিপ্ত হলো এখন আর পিছে দেখার সময় নাই সবাই এগিয়ে চলতে লাগলো আমরা একসাথে বাংলাদেশে ডুকার জন্য অপেক্ষায় আছি তখন মিএবাহিনী আমাদের সাথে যোগ হলো ডিসেম্বর মাসের তুমুল যুদ্ধ শুরু হলো ১/২ তারিখে আমরা সবাই এখন কমান্ডারের অপেক্ষায় আছি নৌকমান্ডো আমরা ৪৫ জন সদস্য তার ভীতর শহিদ হলো চারজন ৪১ জন প্ররসতুত বাংলাদেশ ডুগবো মেলা ঘর থেকে ৩/৪ তারিখে সবাই গুরুপে গুরুপে ডুকতে লাগলো আমাদের কমান্ডার গফুর ভাই কোম্পানি কমান্ডার এ টি এম হায়দার বীর উওম ৮ তারিখে কুমিল্লা ক্যানটেরমেনট দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য অনুমতি দিলেন আমরা রাতের দিকে সাধীন বাংলার জমিনে ডুকে গেলাম অনেক আনন্দ লাগতেছে কিছু দিনের মধ্যে হয়তো আমাদের দেশ সাধীন হবে পারলাম ময়নমতির ক্যাঃমেনট দিকে শুধু আমরা হাজার হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আমাদের মিএবাহীনি ভারতীয় সেনাবাহিনী টেংক আটিলারী বিমান হামলা যুদ্ধে সবাই যুদ্ধে লিপ্ত হলো ১২। ১২। আমরা ঢাকার জন্য অগ্রসর হতে শুরু করলাম ১৪/১৫ তারিখে আমরা কুমিল্লা চন্দপুর আসিলাম রাতে সকালে ১৬ ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের নদী পার হতে হবে বৌদ্ধারবাজার ভোর ৪ টার সময় নদী পার হলাম সিএমবির রাস্তায় যেতে হবে সব বাহিনী এগিয়ে আসলাম সি এম বির রাস্তায় ৯ টা এ টি এম হায়দার বীর মুক্তিযোদ্ধা তিনি আমাদের বলে গেলেন এখানে সবাই অপেক্ষা করো কোন হুকুম না আসা পযন্ত এখানে অপেক্ষায় কিন্তু আমাদের আর সয্য হইতেছে না কিন্তু অডার না আসা পযন্ত এখানে অপেক্ষায় ১১ টার সময় অডার শীতলক্ষ্যা নদীর পারে অগ্রসর করলাম নদীর তীরে পজিশনে আছি তখন হেলিকপ্টার আকাশে উড়তে দেখে অনেক আনন্দ লাগলো মাইকে বলছে তোমরা গুলি করবে না তারা আতোশমরপন করেছে তাদের গুলি করবে না মেজর এ টি এম হায়দার বীর উওম তোমরা এখানে অপেক্ষা করো আমি আর কিছু সেনাবাহিনী অফিসার নিয়ে ঢাকায় যাইতেছি আমরা সবাই এবং পাবলিক রোডে উঠে আসলাম আমাদের নিয়ে তারা আনন্দ করতে লাগলো কেহ কেহ রুটি কলা এনে দিলো সোনারগাঁও কলেজের পাশে একজন এসে আমাদের তার বাসায় নিয়ে যায় পরে যানি ওনি এডভোকেট সাজেদালি সাহেব আমাদের খাবার ব্যবসতা করলেন বিকাল ৫ টার সময় গফুর ভাই আমাদের নিয়ে ঢাকা দিকে রওনা হলো নদী পার হবার পর তিনি বলে তোমরা এখন বাড়ীতে যাও কিন্তু কোন গুলি করা যাবে না সবাই যার যার বাড়ীতে যাওয়ার কোন গাড়ি নাই আমি আর আঃ সোবহান পায়ে হেটে বাড়িতে চলে আসলাম বেশি দুর সোনারগাঁও থেকে চার কিলোমিটার কিন্তু আমাদের এলাকায় এসে দেখি আমাদের বাড়ী ঘর কিছু নাই সব আগুন জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে মা বাবা ভাই বোন কোন খোজ নাই তারা কি বেচে আছে না মরে গেছে বলতে পারি না একজন এসে বলে তারা গ্রামে দিকে আছে কিন্তু আমার এলাকা মানুষ শুন্য কোন লোক নাই আমি তখন নবীগঞ্জ রেল লাইন দাঁড়িয়ে আছি তখন একজন বলে আপনার ভাই বোন তারা মিনারবাড়ি আছে আমি সেখানে গেলাম খুজে বাহির করলাম দুঃখ আর আনন্দ দুই টা যেন কেমন হইয়ে গেলো মনে হাসি আমরা একটা সাধীন বাংলা দেশ পেলাম। আজ কিছু দুঃখ আর কষ্টের কথা না বলে পারলাম না আমাদের মনের কিছু লুকানো কথা বলবো এই নয় মাস একটা লুংগি একটা গেনজী খালি পায়ে নয় টা না খেয়ে না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি তার বলার ভাষা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাই ভাতের মধ্যে পুকা রুটিতে পুকা খেয়ে নয় মাস কাটিয়েছি তা বলার মত নয় সাধীনতা কিভাবে এলো আজও কেহ ঠিক মত যানে না কত রক্ত দিতে হইয়েছে এই সাধীনতার জন্য কত মা বোন কে ইজ্জত দিতে হইয়েছে তাও যানে না একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কত কিছু হারাতে হইয়েছে তোমাদের যানতে হবে সাধীনতা একমনে হেঁটে হেঁটে আসিনি রক্ত দিয়ে কিনা বাংলা আমার কারো দানে নয় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমরা এই বাংলার সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা তোমাদের যানতে হবে বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বের কথা সাধীন বাংলা পেয়ে আমরা আমাদের জীবনের সব কষ্টের কথা বুলে গেছি নিজের জীবনের কথা সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ সাধীনতা এখন রক্ষা করা তোমাদের দায়িত্ব জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলা আমার অহংকার আমি বাংলার বীর সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা