বীর মুক্তিযোদ্ধা লুত্ফা হাসীন রোজী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি মুখ
বীর মুক্তিযোদ্ধা লুত্ফা হাসীন রোজী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি মুখ। একসময় এ দেশের যেকোনো স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সম্মুখ সারির নেতৃত্বে ছিলেন রোজী। স্কুল থেকেই রোজীর রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৭০ সালে 'পাকিস্তান দেশ ও কৃষ্টি' বই বাতিলের জন্য ডাকসুর তত্ত্বাবধানে গঠিত সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। তিনি একজন সর্বকনিষ্ঠ নিউক্লিয়াস সদস্য। শুধু তা-ই নয়, তিনি সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের একজন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) এককালীন সাহিত্য সম্পাদক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এককালীন দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেন্ডার সমতা ও নারী অধিকার আন্দোলনেও রোজী অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। তার তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছিল কয়েকটি নারী সংগঠন, 'নারী অধিকার আন্দোলন' তার মধ্যে একটি। রোজীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৭ জুন। বাবা ভাষাসৈনিক আবু জায়েদ শিকদার ছিলেন একজন গণিতজ্ঞ, অধ্যাপক (গণিত) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার। মা মেহেরুন নেসা অত্যন্ত সচেতন একজন মানুষ । রোজী আজিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও বদরুন্নেসা কলেজের সিঁড়ি পেরিয়ে ১৯৭৯ ব্যাচে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'বিশুদ্ধ গণিত'-এ এমএসসি করেন। তিনি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রথম ব্যাচে ঢাকা কলেজে যোগ দেন গণিত বিভাগে। পরবর্তী সময়ে তিনি আমেরিকার 'কলেজ অফ উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি’ থেকে ‘অপারেশনস রিসার্চ'-এ এবং ‘ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি’ থেকে ‘কম্পিউটার সায়েন্স'-এ এমএস করেন। তিনি ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনি-ভা-ি র্সটি ও ইসিপিআই ইউনিভার্সিটিতে গণিত, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার সায়েন্সে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন।
একটি স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন বুকে বেড়ে উঠেছেন রোজী। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তিতে বিশ্বাস করেন তিনি। তাই আজও তিনি মুক্তচিন্তার মশাল তুলে দিতে চান নতুন প্রজন্মের হাতে ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লুত্ফা হাসীন রোজীর বীরত্বগাথা ইতিহাসের প্রোফাইল দেখুন https://mssangsad.com/profile_view/834/99140 এই লিংকে