পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যার জন্ম না হলে একটি রাষ্ট্রের জন্ম হতো না
আমার সীমিত গবেষণায় পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যার জন্ম না হলে একটি রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র (ব্রিটেন, ফ্রান্স বা স্পেনের মতন উপনিবেশিক নয়) থেকে ভোট এবং জনযুদ্ধের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন হওয়ার নজীর পৃথিবীতে নেই। বায়াফ্রার কর্নেল ওজুকু ব্যর্থ হয়েছেন নাইজেরিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা অর্জনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। কুবেকের জ্যাক প্যাঁরেজো ১৯৯৫ সালে ব্যর্থ হয়েছেন ভোটের মাধ্যমে ক্যানাডা থেকে বিছিন্ন হওয়ার সংগ্রামে। শেখ আব্দুল্লাহ ব্যর্থ হয়েছেন কাস্মীরে। ব্যর্থ হয়েছেন তিব্বতের দালাইলামা। স্কটিশ নেতা আলেক্স সালমণ্ড স্কটল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভোট যুদ্ধে পরাজিত হলেন ২০১৪ সালে।
বিবিসির বাংলা বিভাগের শ্রোতাদের পৃথিবীব্যাপী জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী হিসেবে বিবেচিত হন এমনকি রবীন্দ্রনাথের মতন কালজয়ী বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষটিকে ডিঙ্গিয়ে, ঠিক যেমনটা ইংরেজরা উইনস্টন চার্চিলের গলায় শ্রেষ্ঠ ইংরেজের বরমাল্য পরিয়ে দিয়েছেন সেক্সপিয়ারের মতন আর এক কালজয়ী মানুষকে ডিঙ্গিয়ে।
তখন বিবিসি শ্রোতাদের মতামতের সংক্ষিপ্ত সার ছিল নিম্নরূপঃ “তিনি ছিলেন বাঙ্গালী জনগণের অন্ধকার আচ্ছন্ন যুগের আলোর বাতি ঘর। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বাঙালিদের স্বার্থের জন্য আপসহীনতা শুধু বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে নয়, সারা বিশ্বের বাঙালিদেরকে প্রথমবারের মতন ঐক্যবদ্ধ করে এবং তিনিই তাদের জাতীয়তা দিয়েছেন। সারা পৃথিবীর বাঙালি, যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লালন করেন, তারা এক ব্যক্তির নেতৃত্বের কাছে এই জাতীয়তার জন্য ঋণী এবং তিনি শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া অন্য কেঊ নন”।
হে পিতা, তুমি পৃথিবীতে অদ্বিতীয় যিনি তাঁর জনগণের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছ। তুমি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলে বলেই আজ বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙ্গালীরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করার সুযোগ পাচ্ছে। তোমার ১০৪তম জন্মদিনে তোমাকে বিনম্রশ্রদ্ধায় স্মরণ করছি হে পিতা।