বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইমদাদুল হক
উপমহাদেশের প্রখ্যাত মুসলিম লেখক আলহাজ্ব মীর রহমত আলী এর সুযোগ্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইমদাদুল হক ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নরসিংদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক জেলা কমান্ডার , (১৯৭২-১৯৯৬ পর্যন্ত)।ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নরসিংদী জেলার আহবায়ক ছিলেন তিনি ।রাঙ্গামাটি গোরস্থান , মসজিদ ও ঈদগাহ এর প্রতিষ্ঠাতা মতোয়ালী ও জমিদাতা, সাটির পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা । মীর ইমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা , বায়তুল আকসা জামে মসজিদ, সাটির পাড়া এর প্রতিষ্ঠাতা।এ ছাড়া শীববাগ মোড় থেকে নরসিংদী বা উঃ বিদ্যালয় এর রাস্তা তিনি প্রতিষ্ঠা করেন, শীববাগ মোড় মুক্তি নিকেতন থেকে মীর মঞ্জিল পর্যন্ত রাস্তা তিনি ও তার পিতা, ভাইদের দানকৃত জমি । নরসিংদী কে কে ইনস্টিটিউট থেকে এস এস সি , নরসিংদী নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক পড়াকালীন সময়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন তিনি নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে না তাকিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তির সংগ্রামে। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর নেতৃত্বে দেন । তিনি একাধারে ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব , সমাজ সংস্কারক , দেশ মাতৃকার সেবায় আমৃত্যু সেবার ব্রতে নিবেদিত এক মহান প্রাণ। আত্বীয় স্বজন ও এলাকায় ধর্ম,দল, মত নির্বিশেষে যে কারো যে কোন বিপদে তার পাশে দাঁড়াতেন তিনি। রাঙ্গামাটি, সাটির পাড়া এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় ডিফেন্স পার্টি গঠন করেন । যুবকদের খেলাধুলার জন্য মিতা সংঘ গঠন করেন। এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা সহ আরো একাধিক প্রতিষ্ঠান তিনি গড়েছিলেন মহান আল্লাহর ইচ্ছায় । নরসিংদী মহকুমা গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন । তার নেতৃত্বে ও সভাপতিত্বে নরসিংদী জেলায় তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতো ।২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে হৃদরোগ এ আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।মৃত্কযুর পূর্বে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন না করার জন্য তিনি তার পরিবার ও গুণগ্রাহীদের নির্দেশ করেছিলেন। আল্লাহ জাতির এই সূর্য সন্তানকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন ।