মুক্তির পথে হাঁটা দরকার
১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠিত হয়,
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বরে গঠিত হয়,
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা হয় ২৩ অক্টোবর ২০০১ ইং,
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০০২ এ গঠিত হয়,
আবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করে।
আমার প্রশ্ন হল একটা পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় ও কয়েকটি স্বাধীন দপ্তর থাকা সত্ত্বেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এমন কি সুফল বয়ে নিয়ে এসেছে বিগত দিনে এই দপ্তরগুলো?
* স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এতগুলো দপ্তর মিলে একটা সঠিক নির্ভরযোগ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকা দিতে পারে নাই।
* নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারে নাই।
* একটা রাজাকারের তালিকা করতে পারে নাই।
* এই দপ্তরগুলো যদিও শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করে, কিন্তু এখানে নিয়োগকৃত অধিকাংশ জনবলি ও অমুক্তিযোদ্ধা ও অমুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম।
আমার দেখা মতে এই সব দপ্তর গুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা দেয়ার নাম করে সুকৌশলে ভুলন্ঠিত করছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে এবং খন্ড বিখন্ডিত করে চলেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্য কে। সাধারণ জনগণের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভেদাভেদ তৈরি করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মর্জাদা নষ্ট করছে।
তাই রাষ্ট্র প্রধানের কাছে আমার আবেদন সরাসরি রাষ্ট্র প্রধানের নেতৃত্বে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এর মাধ্যমে একটি দফতর করে, বঙ্গবন্ধর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে মূলধারায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিন।
জীবিত মুক্তিযোদ্ধাগণ আর বেশি সময় আমাদের মাঝে হয়তো থাকবেন না তাই এখনই সময় সঠিক পথে হাঁটার। তা না হলে জাতি আসলেই কলঙ্কিত হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রোফাইল ও ইতিহাস ভিত্তিক একমাত্র ওয়েবসাইট