২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৭১ এই দিনে
* ঢাকায় নিযুক্ত সোভিয়েত কন্সাল জেনারেল ভ্যালেন্টিন এস. পপোভ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে সোভিয়েত কূটনীতিককে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তফা সারওয়ার সংবর্ধনা জানান। তারপর সোভিয়েত কন্সাল জেনারেল বঙ্গবন্ধুর সাথে দেড়ঘণ্টা যাবৎ আলোচনা করেন।
* পাকিস্তান ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কে. জি. মোস্তফা অবিলম্বে সৈয়দ নজিউল্লাহ ও দোহাকে মুক্তিদানের জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের প্রতি আবেদন জানান। তিনি বলেন, করাচী সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নজিউল্লাহ এবং ইন্টার উইং উইকলী রিভিউ’র সম্পাদক এ. আর. এস. দোহাকে শাস্তিদানে আমি বিব্রত বোধ করছি। তিনি আরও বলেন, সৈয়দ নজিউল্লাহর স্ত্রীর স্বাস্থ্য ভালো না। তাঁর পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড তাঁর স্ত্রীর প্রতি কঠোর আঘাত হানবে। এর ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটতে পারে। সৈয়দ নজিউল্লাহর স্বাস্থ্যও ভালো যাচ্ছে না। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমি সৈয়দ নজিউল্লাহ এবং দোহা উভয়কে অবিলম্বে মুক্তিদানের জন্য প্রেসিডেন্টের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।
* মওলানা ভাসানী সিলেট থেকে ঢাকা আসার সময় ভৈরব রেল স্টেশনে আজ ‘এনা’ প্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে এই মর্মে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যে, আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ভুট্টো শেষ পর্যন্ত ঢাকায় না এলে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব শুরু হবে। তাঁর বক্তব্য ব্যাখা করে মওলানা ভাসানী বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা কায়েমের জন্য জনগণ ১১ বছর ধরে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম পরিচালনা করছে। জনগণ তাদের ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছেছে। জাতীয় পরিষদ বাতিল হলে জনগণ কী করবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এই অবস্থায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবে।