৭১ এর এই দিনে | mssangsad.com

৭১ এর এই দিনে

২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ এই দিনে

১৯৭১ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সচিবালয় প্রাঙ্গণে সরকারি কর্মচারীদের সমাবেশে বলেন, 'আজ বাংলাদেশ একটি বাস্তব সত্য। অথচ আজ জাতির পিতা, যিনি আমাদের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, সেই বঙ্গবন্ধুকে এখন পাকিস্তান সরকারের হেফাজতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তবে আমরা তার মুক্তির জন্য সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বঙ্গবন্ধু তার সোনার বাংলার যে রূপরেখা ঠিক করে রেখেছেন, বৈপ্লবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে, ঠিক সেইভাবে দেশকে গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।'

এ সময় তাজউদ্দীন আহমদ গণহত্যাকারীদের নিয়ে বলেন, 'যারা স্বেচ্ছায় প্রত্যক্ষভাবে দখলদার বাহিনীকে গণহত্যা পরিচালনায় সহায়তা করেছে, তাদের কখনো ক্ষমা করা হবে না। যারা বিশেষ পরিস্থিতিতে চাপে পড়ে এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছে তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।'

২৩ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক করা হয় বাংলাদেশের সরকারি ও রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সব পর্যায়ে বাংলা ভাষা প্রবর্তিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল:

১. সরকারি নির্দেশাবলী, বুলেটিন, গেজেট নোটিফিকেশন, সাইন বোর্ড, রাস্তার নামফলক, গাড়ির নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে বাংলায় লিখতে হবে।

২. যে সব সরকারি সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তান অথবা পূর্ব পাকিস্তান শব্দ যুক্ত ছিল তার নাম বাংলাদেশ হবে।

৩. স্টেট ব্যাংকের নাম পরিবর্তিত হয়ে হবে 'বাংলাদেশ ব্যাংক'।

৪. ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে হবে।

৫. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণ করতে হবে।

৬. ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে যেসব পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তা বাতিল হবে এবং দ্রুত সংক্ষিপ্ত ও কন্ডেন্সড সিলেবাসে নতুন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

৭. মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের কল্যাণে একটি ওয়ার মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট ফান্ড গঠন করা হবে।

৮. ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ফাইন আর্টস অ্যান্ড লিটারেচার নামে একটি চিত্রশালা ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে।

৯. প্রেস ট্রাষ্ট বিলুপ্ত করা হবে।

ঢাকায় এ দিন

এক চিঠির সূত্র ধরে ভারতীয় বাহিনী মিরপুর পুলিশের সহযোগিতায় শিয়ালবাড়ি ও রূপনগরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের একটি ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে ইলেকট্রিক রাডার, ৪টি বিমানবিধ্বংসী কামান, ট্রান্সমিটার যন্ত্র, পূর্ণাঙ্গ টেলিফোন ইউনিট, ইলেকট্রিক জেনারেটর, পাওয়ার পাম্প, বিমানবাহিনীর মূল্যবান সরঞ্জাম, মেশিনগান, সদ্য আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ চীনা গোলাবারুদ-বিস্ফোরক দ্রব্য, সেনাবাহিনীর বহু নথি উদ্ধার করে।

এ দিন কলকাতা থেকে ঢাকায় ফেরেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার। এরপর তাকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর নবনিযুক্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার বিমানবাহিনী সব সদস্যকে বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরে রিপোর্ট করতে বলেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল পদে যোগ দেন উইং কমান্ডার এস আর মীর্জা, ডাক বিভাগের সহকারী অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এম আহসান উল্লাহ ডাক বিভাগের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পরিচালক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২৩ ডিসেম্বর মিয়ানমারে পালানোর সময়ে মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীকে আটক করে মুক্তিবাহিনীর একটি দল। পরে চট্টগ্রামের নৌঘাঁটিতে তাকে আটকে রাখা হয়।

ঢাকার চীনা কনসুলেট বন্ধ করে দেয় চীনা সরকার। ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী ঢাকা দখল করার পর পাকিস্তানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে চীনা সরকার এই ব্যবস্থা নেয়।

বঙ্গভবনে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী কমিটির চেয়ারম্যান ও স্পেশাল এনভয় ডিপি ধর। এই বৈঠকে ডিপি ধর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের নানা বিষয় উঠে আসে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিপি ধর বলেন, 'বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্য করার জন্য সর্বপ্রকার চেষ্টা চালাবে ভারত। এ ব্যাপারে খুব শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সরকার যদি ভারত সরকারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায় তবে ভারত সরকার তাতে সায় দেবে।' বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনীতিক সম্পর্ক কবে থেকে শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনো এ বিষয়টি ঠিক হয়নি। তবে শিগগির তা হবে।'

ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় স্পেশাল এনভয় ডিপি ধর। এ সময় তিনি বেগম ফজিলাতুন্নেছার কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে দেন। ইন্দিরা গান্ধী বেগম ফজিলাতুন্নেছাকে এক সপ্তাহের জন্য দিল্লিতে গিয়ে থাকার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করেন।

ভারতে এ দিন

দিল্লিতে ভারত সরকারের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, 'আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শরণার্থীরা ব্যাপকভাবে বাংলাদেশে ফিরতে শুরু করবেন। এরই মধ্যে শরণার্থীদের বিভিন্ন দলে বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন ভারতের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন। তবে বাংলাদেশ সরকার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে উঠতে পারলেই তাদের পাঠানো হবে। এই বিষয়টি এখন বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করছে। এরই মধ্যে প্রায় ১ লাখ শরণার্থী নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। তবে এদের সবাই এখানে নিজ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন।'

এ দিন ভারত সরকারের এই মুখপাত্র ইউএনআইকে বলেন, 'প্রথমে যাদের বাড়ি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে তাদেরকেই পাঠানো হবে। তাদের মধ্যে ২৪ পরগণা এবং পশ্চিম দিনাজপুরের ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের বনগাঁ ও হিলি পথে দেশে পাঠানো হবে।'

দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি আয়োজিত এক সভায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জগজীবন রাম বলেন, 'পাকিস্তানি যুদ্ধ বন্দিদের প্রত্যাবর্তনের প্রশ্ন আসার আগে শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি পাওয়া উচিৎ। এরপর আমরা যুদ্ধ বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে বৈঠকে বসব। একই দিন দিল্লি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সভায় জগজীবন রাম বলেন, 'ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধের সময় সংবাদপত্রের ভূমিকা প্রশংসনীয়।' এ সময় সাংবাদিকেরা তাকে যুদ্ধ বন্দিদের বিচারের উদ্দেশ্যে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে কি না প্রশ্ন করলে জগজীবন রাম বলেন, 'আরও কয়েকদিন পরে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।'

কাশ্মীরের উধমপুরে এক সৈন্য সমাবেশে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল শ্যাম মানেকশ বলেন, 'পাকিস্তানি সৈন্যরা যদি ভারত বা বাংলাদেশে আক্রমণ করার দুঃসাহস দেখায় তবে তাদের আক্রমণকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। আমি পাকিস্তানের মতলব কি জানি না, তবে তাদের নেতারা বদলা নেওয়ার কথা বলছে। আমাদের সর্বসময় সতর্ক থাকতে হবে।'

ভারতের পুনর্বাসন সচিব সি এস কাহলোন বলেন, 'কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন শুরু হবে এবং বিদায়কালে প্রত্যেক শরণার্থীকে ২ সপ্তাহের রেশন দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার শরণার্থী পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরে গেছেন।'

পাকিস্তানে এ দিন

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, 'আলোচনার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো পাকিস্তান নৌবাহিনীর ৬ জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন।

আন্তর্জাতিক মহলে এ দিন

২৩ ডিসেম্বর লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার অ্যালেক ডগলাস হোমের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত একদিনও সৈন্যদের রাখার কোনো ইচ্ছে ভারতের নেই।'

 

২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সরকারী কর্মচারীদের প্রতি তাজউদ্দীন আহমদ

 

 

প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সচিবালয়ে সরকারী কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেছেন যে, বঙ্গবন্ধু তার সোনার বাংলার যে রূপরেখা তৈরি করে রেখেছিলেন বৈপ্লবিক দৃষ্টি ভঙ্গী ও নতুন উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ঠিক সেভাবে দেশকে গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সরকারী কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন বাংলাদেশের কর্মচারীদের কর্মতৎপরতায় লাল ফিতার স্থান নেই। যারা স্বেচ্ছায় প্রত্যক্ষভাবে দখলদার বাহিনীকে গণহত্যা পরিচালনায় সহায়তা করেছে তাদের কখনো ক্ষমা করা হবে না অন্যান্য যুদ্ধবন্দীদের ন্যায় তাদেরও বিচার করা হবে।

তিনি আরো বলেন, অন্যায় ভাবে কাউকে শাস্তি প্রদান করা হবে না। তিনি বলেন ৯ মাসের ক্ষতি ২ মাসে পুরন করতে হবে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি সকলকে অক্লান্ত পরিশ্রম করার আহবান জানান।

 

২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১: সাংবাদিক সম্মেলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সংকল্প প্রকাশ

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পরিচয়ে মাথা তুলে দাঁড়াবার চূড়ান্ত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। সেই অনন্য অর্জন অন্যদিকে এই ডিসেম্বর স্বজন হারানোর মাস। ৩০ লাখ প্রাণ ও অসংখ্য নারীর সম্ভ্রম হারানোর বেদনা মিশে আছে এই বিজয়ের ক্ষণে।

জাতির জীবনে আবারো এসেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। কোটি মানুষের হৃদয়ে এই ডিসেম্বর আসে প্রেরণা, প্রতিজ্ঞার বার্তা নিয়ে। প্রতিকূল পরিস্থিতিকে পরাজিত করে সুন্দর, সত্যের পথে লড়াইয়ের সঞ্জীবনী শক্তি লুকিয়ে রয়েছে এই ডিসেম্বরে। আজ ২৪ ডিসেম্বর।

চলুন দৃষ্টি ফেরাই ১৯৭১ সালের ২৪ ডিসেম্বরের দিনটিত।

১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে  এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সংকল্প প্রকাশ করে যে, স্বাধীন বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাত হতে মুক্ত না করা পযন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান তা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এ দেশের তরুণ সমাজ অস্ত্রধারণ করেছিল। যে নেতার আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন সেই নেতার কাছেই অস্ত্র জমা দেবেন।

সেদিন ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেছিলেন, আইন শৃংখলা রক্ষা ও জনসাধারণের নিরাপত্তা বিধানের ব্যাপারে মুজিববাহিনী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি আ.স.ম. আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখন। তারা দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

৫৪ জন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এক যুক্ত বিবৃতিতে ঢাকা নগরীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী এবং তাদের সহযোগীরা যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তার পূর্ণ তথ্য উদঘাটনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানান। তারা বলেন, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ব্যাপক হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদেরকে কোনোমতে জেনেভা কনভেনশনের ছত্রছায়ায় থাকতে দেওয়া যেতে পারে না। যুক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল, সৈয়দ আলী আহসান, জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, সমর দাস, এ.বি.এম. মুসা, কামাল লোহানী, ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।