৭১ এর এই দিনে | mssangsad.com

৭১ এর এই দিনে

০১ নভেম্বর ১৯৭১ এই দিনে

ক্তিযুদ্ধের ১১ রমজান পালিত হয়েছিল ১ নভেম্বর। দিনটি ছিল সোমবার। মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য দিনের মতো এদিনও গণহত্যা, নির্যাতন ও নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

মুক্তিযুদ্ধের ১১ রমজানের দিন পাকিস্তানি বাহিনীর পৈশাচিকতার বিবরণ পাওয়া যায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের নান্দারাই গ্রামের বাসিন্দা সোলায়মান গণির কথায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র অষ্টম খণ্ডের ১৪৮তম পৃষ্ঠায় দেওয়া সাক্ষ্যে সোলায়মান গণি বলেন, '১৯৭১ সালের ১১ রমজান সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে খান সেনা ও রাজাকাররা আমাকে গ্রেপ্তার করে। দড়ি বেঁধে রাজাকার, খান সেনা ও শান্তি কমিটির সদস্যরা আমাকে থানায় নিয়ে যায়। রাস্তার মধ্যে বেদম মারে। এ সময় তারা বেয়নেট দেখাচ্ছিল এবং উল্লাস করছিল। ৪ মাইল রাস্তায় বিরামহীনভাবে মেরেছিল। আমার চোখ-মুখে চুনকালি মেখে দিয়েছিল।'

'থানায় নেওয়ার পর আমার পা উপরে তুলে লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে। সঙ্গে কিল, ঘুষি ও লাথি সমানে চলতে থাকে। এ অবস্থায় ৪-৫ ঘণ্টা রেখে অত্যাচার করতে থাকে। ৪ রাত থানায় ছিলাম এবং তারা একইভাবে অত্যাচার করেছিল। রোজার মাস হওয়া সত্ত্বেও তারা সেহরি অথবা ইফতারের জন্য কোনো খাবার দেয়নি। না খেয়েই রোজা থাকতে হয়েছে। বহুবার তাদের কাছ থেকে পানি চেয়ে পাইনি। চতুর্থ দিনে  ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাকে ছেড়ে দেয় তারা', যোগ করেন সোলায়মান গণি।   

তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'ওরা আমার বাড়িঘরও লুটপাট করে এবং সবশেষে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আমার অপরাধ, আমি আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলাম এবং অসহযোগ আন্দোলনের সময় বিশেষ কর্মতৎপরতা প্রদর্শন করেছিলাম।'

মুক্তিযুদ্ধের ১১ রমজানে পাকিস্তানি বাহিনীর পৈশাচিকতার বর্ণনা পাওয়া যায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সফিকপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ ছালামত আলীর বর্ণনায়ও।

তিনি বলেন, 'বর্বর নরপশুরা রাজাকারসহ সশস্ত্র অবস্থায় গ্রামে প্রবেশ করার আগেই গ্রামের জনসাধারণ প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। সেনা ও রাজাকাররা নৌকা থেকে নেমেই গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে লাগল। তাদের ধারণা ছিল, হয়তো কোনো আওয়ামী লীগকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা বা স্বেচ্ছাসেবক গ্রামে আত্মগোপন করে আছেন। তবে তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল লুট করা। ঘরের সব মূল্যবান আসবাপত্র নষ্ট করে দেয় তারা। সৌখিন জিনিসও নিয়ে যায়। ট্রাংক, স্যুটকেস খুলে বা আছাড় মেরে সেগুলোর ভেতরে যা পায়, সবকিছু নিয়ে যায়।'

'মজিবুর রহমান নামের ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে বেদম মারধর করে। আমাকে ধরে চোখ বেঁধে দেয়। চোখ বাঁধা অবস্থাতেই নৌকায় তোলে। অনেক অবাঞ্চিত কথা বলার পর পাকিস্তানি বাহিনী আমাকে আত্রাই স্টেশনে নিয়ে যায়। সেখানে নামিয়ে চোখের বাঁধন খুলে দেয়। স্টেশন সংলগ্ন একটি ঘরে আমাকে বন্দী করে রাখে', যোগ করেন তিনি।

রণাঙ্গনে ১১ রমজান

মুক্তিযুদ্ধের ১১ রমজান চট্টগ্রামে দুর্ধর্ষ অপারেশন চালান গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা। এই অপারেশনে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা, পুলিশ নিহত হয়। অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদ, শফিউল বশর ফজলুল হক, অমল মিত্র ও ভোলানাথ।  

প্রথমে স্টেট ব্যাংক অপারেশন চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হবে। ২টি গ্রেনেড, ২টি সাব মেশিনগান, ৪টি রিভালভার এবং বেশ কিছু গোলাবারুদ নিয়ে ছোট একটি ফিয়েট গাড়িতে চেপে রওনা হন তারা।

তখন চট্টগ্রাম সিটি কলেজের মোড়ে আইডিয়াল বুক স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে পত্রিকা পড়ছিল এক পাকিস্তানি অফিসার। তার কোমরে ছিল রিভালভার। রিভালভারটি ছিনিয়ে নিতে রফিকুল আহমদ ও শফিউল বশর গুলি ছোড়েন। সেই হানাদার অফিসার লুটিয়ে পড়ে। এরপর তারা দ্রুতগতিতে সেই রিভালভারটি তুলে নিতেই ৫০ গজ দূরে একটি জিপে থাকা ৪ পাকিস্তানি সেনা দেখতে পেয়ে ফায়ারিং শুরু করে।

২ পক্ষের গোলাগুলিতে তখন এক পুলিশ সার্জেন্ট নিহত হয় এবং গেরিলা শফিউল পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় রফিক ও শফিউল পালাতে শুরু করলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জিপটির সঙ্গে নৌবাহিনীর একটি জিপ গেরিলাদের গাড়ি তাড়া করে। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলির মুখে গেরিলারাও পাল্টা গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এক সময় গাড়িচালক মুক্তিযোদ্ধা ভোলানাথ পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারালে ভোলানাথ গাড়ি থেকে নেমে গলিতে ঢুকে পড়েন।

তখন গেরিলা ফজলুল হক মেশিনগান নিয়ে হানাদারদের লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার শুরু করেন। এ সময় রফিক আহমদ, অমল মিত্র, শফিউল বশর, গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। ফের গুলিবিদ্ধ হন শফিউল। অনবরত ব্রাশফায়ারে ফজলুল হকের মেশিনগানের ম্যাগাজিনও শূন্য হয়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায়ও শফিউল বশর নিজের মেশিনগান নিয়ে ব্রাশফায়ার শুরু করেন, যেন ফজলুল হক নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে পারেন। এ সময় গেরিলা রফিক আহমদ শহীদ হন।

১১ রমজান ইফতারের পর মৌলভীবাজারের লাতু ও বড়লেখার মাঝখানে রেললাইনে মাইন পেতে রাখে মুক্তিবাহিনীর একটি গেরিলা দল। কয়েক ঘণ্টা পর এই লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় মাইন বিস্ফোরণে হানাদার বাহিনীর একটি রেল ট্রলি উড়ে যায়।

১১ রমজান যশোরের নোয়াপাড়ায় মুক্তিবাহিনীর একটি দল হানাদার বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। হামলায় হানাদার বাহিনীর ৬ সেনা নিহত এবং ৪ জন আহত হয়।

১১ রমজান যশোরের ঝিকরগাছার গৌরপুরে পাকিস্তানি বাহিনী প্রতিরক্ষাব্যূহ গড়ে তোলে। জানতে পেরে ক্যাপ্টেন হুদার নেতৃত্বে এক কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা ও এক কোম্পানি এমএফ রাতে সেখানে আক্রমণ করে। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর ২ সেনা নিহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়।

১১ রমজান ১ নম্বর সেক্টরের মনুঘাট সাব সেক্টরের অধীন বিলাইছড়ির রাখিয়াং নদীর পাশে অবস্থান নেয় হানাদার বাহিনীর একটি বড় দল। জানতে পেরে সেখানে হামলা চালায় মুক্তিবাহিনী। এতে ৩ জন হানাদার সেনা নিহত হয় এবং ৪ জন আহত হয়।

১১ রমজান খাগড়াছড়ির বেলছড়িতে মুক্তিবাহিনী হানাদার বাহিনীর জন্য অ্যামবুশের ফাঁদ পাতে। কিছুক্ষণ পর হানাদার বাহিনীর একটি দল ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় মুক্তিবাহিনীর দলটি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে হানাদার বাহিনীর ২ সেনা নিহত হয় এবং ৫ জন আহত হয়।

১১ রমজান ময়মনসিংহের সড়কে মুক্তিবাহিনীর একটি অ্যামবুশ দল মাইন পুঁতে রাখে। হানাদার বাহিনী অ্যামবুশের আওতায় এলে মাইন বিস্ফোরণে ১ হানাদার সেনা নিহত হয়।

২ নম্বর সেক্টরের ঢাকা মহানগরীর জন্য বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ২টি দল এদিন ২টি আলাদা অভিযান চালায়। একটি দল সন্ধ্যায় কাকরাইলে এক পেট্রলপাম্পে বোমা ছোড়ে। অন্য দলটি সকাল ১১টার দিকে শান্তিনগরে এক ব্যাংকে অভিযান চালায়।

১১ রমজান দুপুরে মুক্তিবাহিনীর একটি দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার গোলদড়িতে রাজাকারদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ সময় ১৮ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে, বাকিরা পালিয়ে যায়।

 

০১ নভেম্বর ১৯৭১: মুক্তিবাহিনীর একদল পাকসেনাদের বেলছড়ি নামক স্থানে এ্যামবুশ করে

 

মুক্তিবাহিনীর একদল পাকসেনাদের বেলছড়ি নামক স্থানে এ্যামবুশ করে। ফাইল ছবি

মুক্তিবাহিনীর একদল পাকসেনাদের বেলছড়ি নামক স্থানে এ্যামবুশ করে। ফাইল ছবি

১৯৭১ সালের ০১ নভেম্বর দিনটি ছিল সোমবার। এই দিন ২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল পাকসেনাকে বেলছড়ি নামক স্থানে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর দুই জন সৈন্য নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়।

মুক্তিবাহিনী যশোর জেলার নোয়াপাড়ায় পাকবাহিনীর একদল সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ছয় জন সৈন্য নিহত ও চার জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

সিলেটে জেড ফোর্সের যোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর দুই ব্যাটালিয়ান সৈন্যসহ পাকসেনাদের ধলাই বিওপি এবং ফ্যাক্টরী ঘাঁটির ওপর প্রচন্ড আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩০ তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের দুই কোম্পানী সৈন্য (প্রায় ২০০ জন) নিহত ও অনেক সৈন্য আহত হয়।

২নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনী একদল যোদ্ধা কাহুর নামক স্থানে পাকসেনাদের একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর দুই জন সৈন্য নিহত ও তিন জন আহত হয়।

ময়মনসিংহ জেলায় মুক্তিবাহিনীর একটি এ্যামবুশ দল বিড়িসিড়ি- বিজয়পুর সড়কে মাইন পুঁতে ওৎ পাতে। পাকসেনাদের একটি দল এ্যামবুশ এলাকায় এলে মাইন বিস্ফোরণে এক জন পাকসেনা নিহত হয়। 

লন্ডনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের মধ্যে বাংলাদেশ প্রশ্ন নিয়ে দুই ঘন্টাব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান লন্ডনের ডেইলী মেইলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন। ভারত-পাকিস্তান আক্রমণ করলে চীন তা সহ্য করবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থ কেবল পাকিস্তান খন্ড-বিখন্ড নয়, সেই সঙ্গে হবে ভারতীয় ইউনিয়নের অবসানের সূচনা।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কৃষি ও পূর্ত উপদেষ্টা এম.এইচ. সূফী সংবাদ সম্মেলনে জানান, দেশে দুর্ভিক্ষের আশংকা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কেননা পূর্ব পাকিস্তানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।

জাতিসংঘের মহাসচিব উ’থান্টের সঙ্গে সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতা মাহমুদ আলী সাক্ষাৎ করেন।

নির্বাচন কমিশন জানায়, আরো তিন জন উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াতে জাতীয় পরিষদে মোট নির্বাচিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ জন। অর্থাৎ মাত্র ২৩টি আসনে নির্বাচন হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লন্ডনে ভারতীয়দের এক সমাবেশে বলেন, তিনি বৃটেনকে তার প্রভাব বিস্তার করে বাংলাদেশ প্রশ্নের একটি রাজনৈতিক মিমাংসা ও উদ্বাস্তু সমস্যার একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির অনুরোধ জানিয়েছেন। যুদ্ধ বাধুক ভারত তা কখনো চায় না। তবে এ জন্য ভারত তার জাতীয় স্বার্থকে কখনো ক্ষুন্ন হতে দিতে পারে না। 

তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের দ্রুত একটি নিষ্পত্তি করতে হবে। সীমান্ত পরিস্থিতি দেখে মনে হতে পারে বাংলাদেশ থেকে দলে দলে লোক চলে আসার ফলে এটা হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ সমস্যা এর চেয়েও জটিল।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জাতি চাইলে বেআইনী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির প্রশ্নটি তিনি বিবেচনা করে দেখতে পারেন। তিনি বলেন, বর্তমানের বিস্ফোরণোন্মুখ পরিস্থিতিকে তিনি আর বিস্তৃত করতে চান না, তবে ভারত যদি পাকিস্তানের এলাকা দখলে দুস্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) অস্ত্রশস্ত্র ও মদদ দান অব্যাহত রাখে এবং ক্রীড়নক বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় তবে যুদ্ধ বাধবে।

নুরুল আমিন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় তিনি বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের জানান, খসড়া শাসনতন্ত্রে পিডিপি-র ৮ দফা মেনিফেস্টো অন্তর্ভুক্ত করার দাবী তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে জানাবেন।