০৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ এই দিনে
কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনীর সেনেরহাট অবস্থানের ওপর পাকহানাদার বাহিনী কামান, মর্টার ও রকেট লাঞ্চারের সাহায্যে প্রবল হামলা চালায়। মুক্তিবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালালে হামলা চালায়। মুক্তিবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক যুদ্ধ হয়। সমস্ত দিন যুদ্ধের পর সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধাদের চাপে অনেক পাকসৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর কয়েকজন বীরযোদ্ধা শহীদ ও আহত হন।
যশোর সদর থানায় মুক্তিবাহিনীর তিন দল যোদ্ধা পাকবাহিনীর বারিনগর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৩১ জন রাজাকার নিহত ও ৩৫ জন রাজাকার আহত হয়। কোন ক্ষতি ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
সিলেটে পাকহানাদারবাহিনী মুক্তিবাহিনীর বগাগ্রাম অস্থানের ওপর ৩ ইঞ্চি মর্টারের সাহায্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মুক্তিবাহিনীর ৬ জন বীরযোদ্ধা আহত হয়।
সুনামগঞ্জে পাকহানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকার বাহিনীসহ রাণীগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রবেশ করে এবং রাণীগঞ্জে শ্রীরামসির মতো পাইকারি হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে ৩০ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন। শুধু তাই নয় পাক বর্বররা রাণীগঞ্জ বাজারের প্রায় দেড়শ দোকান আগুন জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে।
বাংলাদেশ ফোর্স হেডকোয়ার্টার-এর গণসংযোগ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘যুদ্ধ বুলেটিন’- এ বলা হয় : বিভিন্ন সেক্টরের যুদ্ধসমূহে মুক্তিবাহিনী আজ ১১৯ জন শত্র“সৈন্যকে নিহত করেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য পাক প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণা করা হয়। দলের সদস্যরা হচ্ছেন : পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আলী (দলনেতা), শাহ আজিজুর রহমান, জুলমত আলী কান, বিচারপতি জাকির উদ্দিন, ব্যারিস্টার কামাল ফরুকী, ডা. বেগম এনায়েতউল্লাহ, মিসেস রাজিয়া ফয়েজ, ড. ফাতেমা সাদিক, এড: এ.টি. সাদী, এড: কে. বাবর প্রমুখ।
মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত ইংরেজী সাপ্তাহিক ‘বাংলাদেশ’- এর ‘পাগলা কুকুর হইতে সাবধান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয় : জেনারেল ইয়াহিয়অ খান তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ করলে ও তারা তাদের পরিকল্পামত এগুতে পারেনি।
৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: মুক্তিবাহিনীর তিনদল যোদ্ধা পাকবাহিনীর বারিনগর আক্রমণ করে
যশোর সদর থানায় মুক্তিবাহিনীর তিনদল যোদ্ধা পাকবাহিনীর উপর আক্ফারমণ চালায়। ইল ছবি
১৯৭১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দিনটি ছিল বুধবার। কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনীর সেনেরহাট অবস্থানের উপর পাকহানাদার বাহিনী ব্রাহ্মণপাড়া, শশীদল ও নয়ঘর অবস্থান থেকে কামান, ৩” মর্টার ও ১২০এমএম মর্টারের সাহায্যে প্রবল হামলা চালায়। কয়েক হানাদারা কোম্পানী দুদিক দিয়ে সেনেরহাটের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। গোলার আঘাতে বেশ ক’জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন এবং ৪টি বাংকার উড়ে যায়। পাকসেনারা যখন দেড়শ’ গজের মধ্যে এসে পৌঁছায় মুক্তিবাহিনী তখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। সমস্ত দিন যুদ্ধের পর সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের চাপে পাকসৈন্যরা পিছু হটে।
যশোর সদর থানায় মুক্তিবাহিনীর তিনদল যোদ্ধা পাকবাহিনীর বারিনগর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৩১ জন রাজাকার নিহত ও ৩৫ জন রাজাকার আহত হয়। কোনো ক্ষতি ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাদল নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। চৌদ্দগ্রামের একটি মাদ্রাসায় একদল পাকসেনা স্থায়ীভাবে অবস্থান নিলে মুক্তিযোদ্ধারা মাদ্রাসার উপর মর্টার আক্রমণ চালায়। হানাদাররাও পাল্টা জবাব দেয়। এ যুদ্ধে দুপক্ষেই বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয়।
সিলেটে পাকহানাদারবাহিনী মুক্তিবাহিনীর বগাগ্রাম অবস্থানের ওপর ৩ ইঞ্চি মর্টারের সাহায্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মুক্তিবাহিনীর ৬ জন যোদ্ধা আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা এ হামলা প্রতিহত করে। বেশ কিছু হতাহতের মধ্য দিয়ে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সুনামগঞ্জে পাকহানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকার বাহিনীসহ রাণীগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রবেশ করে এবং নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে ৩০ জন নিরীহ মানুষ শহিদ হন। শুধু তাই নয় পাকবর্বররা রাণীগঞ্জ বাজারের প্রায় দেড়’শ দোকান আগুন জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে।
বাংলাদেশ ফোর্স হেডকোয়ার্টার-এর গণসংযোগ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘যুদ্ধ বুলেটিন’- এ বলা হয়: বিভিন্ন সেক্টরের যুদ্ধসমূহে মুক্তিবাহিনী আজ ১১৯ জন শত্রু সৈন্যকে নিহত করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য পাক প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণা করা হয়। দলের সদস্যরা হচ্ছেন, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আলী (দলনেতা), ন্যশনাল লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আজিজুর রহমান, জুলমত আলী খান, বিচারপতি জাকিরউদ্দিন, ব্যারিস্টার কামাল ফারুকী, ডা. বেগম এনায়েতউল্লাহ, রাজিয়া ফয়েজ, ড. ফাতেমা সাদিক, এড. এ টি সাদী, এড. কে বাবর প্রমুখ।
মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত ইংরেজী সাপ্তাহিক ‘বাংলাদেশ’- এর ‘পাগলা কুকুর হইতে সাবধান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল ইয়াহিয়া খান তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। পাকিস্তানী সৈন্যরা বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ করলেও তারা তাদের পরিকল্পনামত এগুতে পারেনি।
৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: ১১৯ জন শত্রু সৈন্যকে নিহত করেছে মুক্তিবাহিনী
ফাইল ছবি
১৯৭১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দিনটি ছিল বুধবার। কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনীর সেনেরহাট অবস্থানের উপর পাকহানাদার বাহিনী ব্রাহ্মণপাড়া, শশীদল ও নয়ঘর অবস্থান থেকে কামান, ৩” মর্টার ও ১২০এমএম মর্টারের সাহায্যে প্রবল হামলা চালায়। কয়েক হানাদারা কোম্পানী দুদিক দিয়ে সেনেরহাটের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। গোলার আঘাতে বেশ ক’জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন এবং ৪টি বাংকার উড়ে যায়। পাকসেনারা যখন দেড়শ’ গজের মধ্যে এসে পৌঁছায় মুক্তিবাহিনী তখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। সমস্ত দিন যুদ্ধের পর সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের চাপে পাকসৈন্যরা পিছু হটে।
যশোর সদর থানায় মুক্তিবাহিনীর তিনদল যোদ্ধা পাকবাহিনীর বারিনগর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৩১ জন রাজাকার নিহত ও ৩৫ জন রাজাকার আহত হয়। কোনো ক্ষতি ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাদল নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। চৌদ্দগ্রামের একটি মাদ্রাসায় একদল পাকসেনা স্থায়ীভাবে অবস্থান নিলে মুক্তিযোদ্ধারা মাদ্রাসার উপর মর্টার আক্রমণ চালায়। হানাদাররাও পাল্টা জবাব দেয়। এ যুদ্ধে দুপক্ষেই বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয়।
সিলেটে পাকহানাদারবাহিনী মুক্তিবাহিনীর বগাগ্রাম অবস্থানের ওপর ৩ ইঞ্চি মর্টারের সাহায্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মুক্তিবাহিনীর ৬ জন যোদ্ধা আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা এ হামলা প্রতিহত করে। বেশ কিছু হতাহতের মধ্য দিয়ে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সুনামগঞ্জে পাকহানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকার বাহিনীসহ রাণীগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রবেশ করে এবং নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে ৩০ জন নিরীহ মানুষ শহিদ হন। শুধু তাই নয় পাকবর্বররা রাণীগঞ্জ বাজারের প্রায় দেড়’শ দোকান আগুন জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে।
বাংলাদেশ ফোর্স হেডকোয়ার্টার-এর গণসংযোগ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘যুদ্ধ বুলেটিন’- এ বলা হয়: বিভিন্ন সেক্টরের যুদ্ধসমূহে মুক্তিবাহিনী আজ ১১৯ জন শত্রু সৈন্যকে নিহত করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য পাক প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণা করা হয়। দলের সদস্যরা হচ্ছেন, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আলী (দলনেতা), ন্যশনাল লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আজিজুর রহমান, জুলমত আলী খান, বিচারপতি জাকিরউদ্দিন, ব্যারিস্টার কামাল ফারুকী, ডা. বেগম এনায়েতউল্লাহ, রাজিয়া ফয়েজ, ড. ফাতেমা সাদিক, এড. এ টি সাদী, এড. কে বাবর প্রমুখ।
মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত ইংরেজী সাপ্তাহিক ‘বাংলাদেশ’- এর ‘পাগলা কুকুর হইতে সাবধান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল ইয়াহিয়া খান তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। পাকিস্তানী সৈন্যরা বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ করলেও তারা তাদের পরিকল্পনামত এগুতে পারেনি।