৭১ এর এই দিনে | mssangsad.com

৭১ এর এই দিনে

২৫ আগষ্ট ১৯৭১ এই দিনে

এদিন মুজিবনগরে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান বলেন, 'মুক্তিবাহিনী জল, স্থল ও আকাশপথে হানাদার বাহিনীকে আঘাত করছে। তার প্রমাণ একদিনে অনেকগুলো জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়া। মুক্তিবাহিনী অনেক স্থানে রেললাইন উপড়ে ফেলায় অনেক স্থানে রেল চলাচল বন্ধ। আমরা হানাদারদের বিদায়ের পূর্ব পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো।'  

২৫ আগস্ট মুজিবনগরে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, 'মুক্তিবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্রবাহী পদ্মা জাহাজ খুলনার মংলা বন্দরে ডুবিয়ে দিয়েছে। মুক্তিবাহিনীর নৌ-কমান্ডোরা একই দিনে চট্টগ্রাম, মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ বাংলাদেশের আরও কয়েকটি নদীবন্দরে বেশ কয়েকটি নৌযান ডুবিয়ে দিয়েছে।' 

ঢাকায় এদিন 

২৫ আগস্ট ঢাকায় 'অপারেশন আননোন' নামে এক দুর্ধর্ষ অপারেশন চালায় ক্র্যাক প্লাটুনের একটি গেরিলা দল। ছিনতাই করা একটি গাড়িতে করে ধানমণ্ডির ৫ ও ১৮ নম্বর সড়কে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক ব্রিগেডিয়ারের বাড়ির সামনে ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে ৭/৮ জন হানাদারকে হত্যা করে গেরিলারা। এই সংবাদ ভীষণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। 

পাকিস্তানে এদিন 

২৫ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো। পরে ভুট্টো সাংবাদিকদের বলেন, 'কয়েকটি নতুন সমস্যাসহ পাকিস্তান যেসব সমস্যার সম্মুখীন, সেসব নিয়ে আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দেশের স্বার্থেই আমরা সঠিক ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবো বলে আশা করি।' 

আন্তর্জাতিক মহলে এদিন 

২৫ আগস্ট প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় স্টিফেন ক্লাইভম্যানের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনে নিক্সন সরকারের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, 'ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান রক্ষা করাই মার্কিন সরকারের নীতি।' 

দেশব্যাপী প্রতিরোধ যুদ্ধ 

২৫ আগস্ট কুমিল্লার উত্তরে জামবাড়িতে ক্যাপ্টেন দিদারুল আলমের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি কোম্পানির উপর অতর্কিত মর্টার হামলা চালায়। এ হামলায় পাকিস্তানি হানাদার সেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাবার চেষ্টা করলে মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ দল হানাদার সেনাদের উপর মর্টার ও গুলিবর্ষণ করলে ৩০ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়। বাকি হানাদার সেনারা পালিয়ে যায়। 

২৫ আগস্ট কুমিল্লার সি এন্ড বি সড়কে মুক্তিবাহিনীর একটি অ্যামবুশ দল হানাদার বাহিনীর একটি ডজ গাড়ি অ্যামবুশ করে। এই অ্যামবুশে একজন হাবিলদারসহ ৪ হানাদার সেনাকে আটক করে মুক্তিবাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারা তখন গাড়িটি থেকে ৬টি রাইফেল, ২২৫ রাউন্ড গুলি, ২টি পিস্তল ও ৩টি গ্রেনেড নিজেদের দখলে নেয়। 

২৫ আগস্ট সিলেটে কুকিতল সাব-সেক্টরের আতিকুল হক পনীর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল হানাদার বাহিনীর দিলখুশা ক্যাম্পের ২শ গজ এলাকা জুড়ে অ্যামবুশ করে। এদিন ভোরে আজানের কিছুক্ষণ পরে হানাদার সেনারা যখন একে একে বাঙ্কার থেকে বের হচ্ছিলো ঠিক তারপরই মুক্তিযোদ্ধারা গুলি শুরু করে। এই যুদ্ধে ৬ জন হানাদার সেনা নিহত হয়। 

২৫ আগস্ট ২ নম্বর সেক্টরে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে ধানদইল গ্রামের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্যের উপর অতর্কিত হামলা চালায় মুক্তিবাহিনীর একটি পেট্রোল দল। এই হামলায় একজন ক্যাপ্টেনসহ ১০ হানাদার সেনা নিহত হয়। অন্যদিকে হানাদার সেনারা এসময় ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। 

২৫ আগস্ট যশোরের বারিনগর মুক্তিবাহিনীর হামলায় ৬ রাজাকার নিহত হয় ও ৩ জন আহত হয়। এসময় মুক্তিবাহিনী ২টি রাইফেল উদ্ধার করে। অন্যদিকে এদিক বারিনগরে মুক্তিবাহিনী আরও একটি রাজাকার ক্যাম্পে হামলা চালালে ১৪ জন রাজাকার আহত হয়। এসময় ৮ রাজাকারকে আটক করে মুক্তিবাহিনী। একই সঙ্গে ১৫টি রাইফেল নিজেদের জিম্মায় নেয় মুক্তিবাহিনী।

২৫ আগস্ট পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কাকড়াবুনিয়া বাজারে রাজাকার ফোরকান মল্লিক ও তার সঙ্গী সশস্ত্র রাজাকাররা চার জনকে হত্যা করে। ফোরকান মল্লিক ও তার সহযোগী রাজাকার এবং পাকিস্তানি হানাদার সেনারা গ্রামজুড়ে গণহত্যা, জখম, আটক, ধর্ষণ, লুটপাট চালায় এবং গান পাউডার দিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল।

 

 

যশোরে এক মুক্তিযোদ্ধার আক্রমণে ৬ রাজাকার নিহত হয়

 

মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ দল কুমিল্লার সি এন্ড বি সড়কে পাকবাহিনীর একটি ডজ গাড়ী অ্যামবুশ করে। ফাইল ছবি

মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ দল কুমিল্লার সি এন্ড বি সড়কে পাকবাহিনীর একটি ডজ গাড়ী অ্যামবুশ করে। ফাইল ছবি

১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট দিনটি ছিল বুধবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে হাইজ্যাক করা মাজদা গাড়িতে করে ঢাকার গেরিলা হাবিবুল আলম, কাজী কামালউদ্দিন (কাজি), বদিউল আলম (বদি), শাফী ইমাম (রুমী), কামরুল হক (স্বপন) ধানমন্ডির ১৮ নম্বর রোডে এক পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ারের বাড়ীর পাহারারত ৭/৮ জন হানাদারকে ঝটিকা আক্রমণে হত্যা করে। এরপর মিরপুর রোডের চেকপোষ্টে আরও কয়েকজন এবং পরে ধানমন্ডি ৫ নম্বরের গ্রিনরোডে একটি জীপের ড্রাইভারসহ কয়েকজন পাকিস্তানী সৈন্যকে হতাহত করে নিরাপদে নিজেদের আস্তানায় চলে যায়।

ক্যাপ্টেন দিদারুল আলমের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার উত্তরে জামবাড়িতে পাকসেনাদের একটি কোম্পানীকে মর্টার আক্রমণ করে। এই আকস্মিক আক্রমণে পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাবার চেষ্টা করে। অ্যামবুশ দল পলায়নপর পাকসেনাদের ওপর মর্টার ও গুলি বর্ষণ করলে ৩০ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়। অবশিষ্ট পাকসেনারা পালিয়ে যায়।

মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ দল কুমিল্লার সি এন্ড বি সড়কে পাকবাহিনীর একটি ডজ গাড়ী অ্যামবুশ করে। এই অ্যামবুশে ডজ গাড়ীটি ধ্বংস হয় এবং ডজের আরোহী একজন হাবিলদারসহ ৪ জন পাকসেনা বন্দী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা এ অভিযান থেকে ৬টি রাইফেল, ২২৫ রাউন্ড গুলি, ২টি পিস্তল ও ৩টি গ্রেনেড হস্তগত করে।

সিলেটে কুকিতল সাব-সেক্টরের অসমসাহসী আতিকুল হক পনীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পাকবাহিনীর দিলখুশার অগ্রবর্তী ক্যাম্পের ২শ’ গজ এলাকা জুড়ে অ্যামবুশ করে। ভোরে আজানের কিছুক্ষণ পরে পাকসেনারা একজন একজন করে বাঙ্কার থেকে বের হতে থাকে। এভাবে পাকসেনাদের কমান্ডার বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তিযোদ্ধা পনীরের গুলিতে তার বুক বিদীর্ণ হয়। মুহুর্তে গর্জে ওঠে মুক্তিযোদ্ধাদের আগ্নেয়াস্ত্র। আধ মিনিট পর আবার সবকিছু স্তব্ধ। এই স্তব্ধতার সুযোগে আর একজন সৈন্য বাঙ্কার থেকে বের হলে সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর একঝাঁক গুলি নিক্ষিপ্ত হয়েই মুহুর্তে বিরতি। এভাবে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ৬ জন পাকসেনা নিহত হয়।

২ নম্বর সেক্টরে পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য ব্রাহ্মণপাড়া থেকে ধানদইল গ্রামের দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর একটি পেট্রোল পার্টি ধানদইল গ্রামে অ্যামবুশ করে। পাকসেনারা অ্যামবুশের মধ্যে এসে পড়লে মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে একজন ক্যাপ্টেনসহ ১০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপর পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।

যশোরে বারিনগর ২৫ আগস্টে এক মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ৬ রাজাকার নিহত হয় এবং ৩ জন আহত হয়। ২টি রাইফেল উদ্ধার হয়।  অপর এক রাজাকার অবস্থানে আক্রমণে ১৪ জন আহত হয়। ১৫টি রাইফেল জব্দ ও ৮ রাজাকার বন্দী করা হয়।

২২ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে রাজাকার ফোরকান মল্লিক ও তার সঙ্গী সশস্ত্র রাজাকাররা গানবোটে পাকিস্তানী সেনাদের সঙ্গে করে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার কাকড়াবুনিয়া বাজারে আসে। এখানে তারা চারজনকে হত্যা করে। এছাড়াও ফোরকান মল্লিক ও তার সহযোগী রাজাকার এবং পাকিস্তান সেনারা গণহত্যা, জখম, আটক, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে।

জামায়াতের প্রাদেশিক আমীর গোলাম আযম পেশোয়ারে বলেন, সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিশ্বাসঘাতকতা থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করেছে। দুষ্কৃতকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের খতম করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের স্টিফেন ক্লাইভম্যান পরিবেশিত এক বিশেষ বিবরণে নিক্সন সরকারের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান রক্ষা করাই মার্কিন সরকারের নীতি।’

 

শাফী ইমাম রুমী
 
শাফী ইমাম রুমী

১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট মুক্তিবাহিনীর ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্যরা ঢাকার ধানমন্ডিতে দুর্ধর্ষ এক গেরিলা অপারেশন চালান। এরপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডে তোলপাড় শুরু হয়। এই অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন শাফী ইমাম রুমী। কয়েক দিন পর শাফী ইমাম রুমীসহ তাঁর আরও কয়েকজন সহযোদ্ধা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে অমানুষিক নির্যাতনে তিনি শহীদ হন।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আটক করেছিল ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য আবুল বারক আলভীকেও (শিল্পী)। তিনি বেঁচে যান। নির্যাতনের বর্ণনা আছে তাঁর লেখায়। তিনি লিখেছেন: ‘৩০ আগস্ট ভোরবেলা সুরকার আলতাফ মাহমুদের বাসা পাক সেনারা ঘিরে ফেলে। আলতাফ মাহমুদ ও অন্যান্যদের সঙ্গে আমাকেও ধরে নিয়ে যায়। ওখানে দেখলাম আমাদের অনেকেই ধরা পড়েছে। সেই পরিচিত মুখগুলোর মধ্যে ছিল রুমী, জুয়েল, বদি, হাফিজ, চুন্নু ভাই, বেলায়েত ভাই (ফতেহ আলীর দুলাভাই), উলফাতের বাবা, আলমের ফুফা আরো অনেকে।

‘রুমীকে শুধু একদিনই দেখেছি। রুমীকে বেশ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল প্রচণ্ড টর্চার করা হয়েছে। দুপুরের পর ওকে নিয়ে গেল। তারপর আর দেখা হয় নাই। আমাকেও আমার সহযোদ্ধা অন্যান্য গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কথা বের করার জন্য অনেক টর্চার করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছে দেহ, আঙুলগুলো ভেঙে গেছে। হাত-পিঠ ফেটে রক্ত বেরিয়েছে। থেঁতলে দিয়েছে সারা শরীর। অতএব আমিও জানি, রুমীর কাছ থেকেও কথা বের করতে এই নির্দয় পাক সেনারা কি কি করতে পারে।’

রুমীর সহযোদ্ধা হাবিবুল আলম লিখেছেন: ‘রুমী খুব বেশি দিন যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেনি। একজন মুক্তিযোদ্ধা কতগুলো অ্যাকশন করেছে, সেটা বড় কথা নয়। যদি একটা অ্যাকশনে সে সাহস ও বীরত্ব দিয়ে সফল হতে পারে, সেটাই বড় কথা। রুমী ঢাকার অপারেশনে অনেক বেশি সাহসের পরিচয় দিয়েছিল। আর এ রকমই একটি দুঃসাহসী অপারেশন ছিল ২৫ আগস্ট, ১৯৭১ তারিখ।’

শাফী ইমাম রুমী ১৯৭০ সালে এইচএসসি পাস করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু ক্লাস শুরু হতে বিলম্ব হওয়ায় কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা করেন। ১৯৭১ সালে আমেরিকার ইলিনয় স্টেটের ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভর্তি হন। সেপ্টেম্বর মাস থেকে সেখানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। জুনের মাঝামাঝি মায়ের অনুমতি নিয়ে তিনি ভারতে গিয়ে মুক্তিবাহিনীর ক্র্যাক প্লাটুনে যোগ দেন।