৭১ এর এই দিনে | mssangsad.com

৭১ এর এই দিনে

১১ আগষ্ট ১৯৭১ এই দিনে

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১১ আগস্ট গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। এদিন বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দ্বিতীয়বারের মতো অপারেশন চালায় ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলারা।

প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ ও টাইম বোমার আঘাতে এসময় হোটেলের লাউঞ্জ, বার, শপিং আর্কেড ও হোটেলের বিভিন্ন কক্ষের কাঁচ ভেঙে পড়ে ও দরজা ছিটকে পড়ে। এই অপারেশনে অংশ নেন ক্র্যাক প্লাটুনের দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর, আবদুস সামাদ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও গাজী গোলাম দস্তগির। এর আগে ৯ জুন প্রথমবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অপারেশন চালায় ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলারা।
মুক্তাঞ্চল থেকে পাঠানো বিবৃতি ও ভাষ্য
১১ আগস্ট প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান মুজিবনগরে সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশের লড়াই জনযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করতে গোটা জাতিই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের কেউ রুখতে পারবে না।' 
১১ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ৩৫০ জন নির্বাচিত সদস্য মুজিবনগর থেকে বিশ্বের সব রাষ্ট্রপ্রধান এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে আবেদন জানিয়ে পাকিস্তানের সামরিক আদালতে শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার বন্ধের দাবি জানান।
১১ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, 'অবিলম্বে শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রহসনের বিচার বন্ধ করতে হবে এবং তাকে মুক্তি দিতে হবে।'
ভারতে এদিন 
১১ আগস্ট দিল্লিতে ভারত-সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, 'বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মতামত অভিন্ন। দুটি দেশই মনে করে, বাংলাদেশে সামরিক নয়, রাজনৈতিক সমাধানই কাম্য। ভারত থেকে শরণার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেই পাকিস্তানের পূর্ণাঙ্গ স্বার্থ এবং অঞ্চলটির শান্তি সুরক্ষিত হবে। ১৯৭০–এর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনসাধারণের অভিপ্রায়ের মর্যাদা দিতে হবে কিংবা বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য অন্য কোনো উপায়ে সমাধানে পৌঁছাতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যদি স্বাধীনতার দাবিই আঁকড়ে থাকেন, তাহলে সেই দাবির অস্বীকৃতি পাকিস্তানের সমগ্র জনসাধারণের স্বার্থের পরিপন্থী হবে, অর্থাৎ পাকিস্তান ভাগ হয়ে যাবে।'
১১ আগস্ট দিল্লিতে রাজ্যসভার অধিবেশনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং বলেন, 'বাংলাদেশের গণ–আন্দোলন সম্পর্কে ভারতের মনোভাব বুঝিয়ে বলার জন্য চীনে একটি মিশন পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আমরা আশা করি এতে চীনের মনোভাব পাল্টাতে পারে।'
১১ আগস্ট ভারত সফররত মার্কিন সিনেটের শরণার্থীবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি 
পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। এসময় বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে এডওয়ার্ড কেনেডির কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতি পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। 
আবেদনে বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি এবং বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা ও মুক্তির জন্য নিক্সন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেও অনুরোধ করা হয়। বুদ্ধিজীবীদের মুক্তি পরিষদের পক্ষ থেকে এই আবেদনে স্বাক্ষর করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ আর মল্লিক, অধ্যাপক মুশাররফ হোসেন, সুভাস দত্ত, আলমগীর কবির, কবরীসহ অনেকে।
১১ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে ও তার জীবন রক্ষার্থে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের উপর চাপ দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুগোস্লাভিয়াসহ মোট ২৪ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে আবেদন জানান।
১১ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্টের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলেন, 'শেখ মুজিবুর রহমানকে ফাঁসি দেওয়া হলে উপমহাদেশে গুরুতর ও বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। জাতিসংঘের উচিত এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য এখনই শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য পাকিস্তানকে বাধ্য করা।'
আন্তর্জাতিক মহলে এদিন
১১ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের বিচারের খবরে মার্কিন সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলে, 'এ পদক্ষেপের ফলে পূর্ব পাকিস্তান সংকটের রাজনৈতিক সমাধান আরও কঠিন হয়ে পড়লো। পাকিস্তান যদি সত্যিই রাজনৈতিক সমাধান চেয়ে থাকে তবে পাকিস্তান এই পথ থেকে সরে আসবে।'
১১ আগস্ট মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম রজার্স যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আগা হিলালির কাছে একটি চিঠি পাঠান। এই চিঠিতে শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার বন্ধের জন্য ১১ জন সিনেটরের তারবার্তা এবং ৫৮ জন কংগ্রেস সদস্যের সই করা একটি চিঠি ছিল।
১১ আগস্ট রেডিও অস্ট্রেলিয়া এক খবরে বলে, 'শেখ মুজিবুর রহমানের বিচারের রায় আগেই নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। এই বিচারে তাকে দোষী হিসেবেই সাব্যস্ত করা হবে এটিই সত্য। আর এজন্যই কোনো বাঙালি আইনজীবীকে শেখ মুজিবুর রহমানের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সুযোগ দেয়নি পাকিস্তান সরকার।
দেশব্যাপী এদিন
১১ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আযম এক বিবৃতিতে বলেন, 'তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থকরা ইসলামের দুশমন।'
১১ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান, ডা. এ এম মালিক ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতিনিধি জন আর কেলি রংপুর ও দিনাজপুর সফর করেন। রংপুর শান্তি কমিটির বৈঠকে টিক্কা খান এক সমাবেশে উপস্থিত রাজাকারদের বলেন, 'রাজাকাররা না থাকলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতো না। রাজাকারেরাই মূলত দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনীকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে।'
দেশব্যাপী প্রতিরোধ যুদ্ধ
১১ আগস্ট ৩ দিন অপেক্ষার পর বিখ্যাত জাহাজমারা যুদ্ধে কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও তার সহযোদ্ধারা সিরাজকান্দি ঘাটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অস্ত্র বোঝাই ৭টি জাহাজ আক্রমণ করে। এসময় জাহাজগুলো বালুচরে আটকে যায় এবং ২০/২৫ জন হানাদার সেনা নিহত হয় ও অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। জাহাজের লগবুগ ও মুভমেন্ট অর্ডারের হিসাব অনুসারে জাহাজগুলোতে এক লাখ কুড়ি হাজার বক্সে প্রায় ২১ কোটি টাকার নানা ধরনের চাইনিজ, ব্রিটিশ ও মার্কিন অস্ত্রশস্ত্রের হিসেব পাওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধারা এ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এসময় নেয়া সম্ভব নয় এমন প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এ যুদ্ধে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
১১ আগস্ট মেজর সালেকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা সড়কে রসুল গ্রামের কাছে একটি রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই হামলায় ২০ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ৩০ জন রাজাকার বন্দি হয়। অপারেশন শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের অবস্থানে ফিরে আসে।
১১ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭ নম্বর সেক্টরের মেহেদিপুর সাব-সেক্টরে সুবেদার মেজর মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কলাবাড়ি অবস্থানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় দেড় ঘণ্টা তীব্র যুদ্ধের পর পাকিস্তাই হানাদার বাহিনী কলাবাড়ি অবস্থান ত্যাগ করে কানসাটে চলে যেতে বাধ্য হয়। এসময় কলাবাড়ি মুক্তিবাহিনীর পুনর্দখলে আসে।
১১ আগস্ট ৮ নং সেক্টরে সেক্টরের কমান্ডার পদ থেকে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে সেনা সদর দপ্তরে বদলি করে সেক্টর কমান্ডার পদে মেজর এম এ মঞ্জুরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

 

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গেরিলাদের দুটি সফল অপারেশন

 

মুক্তিযোদ্ধারা পাক সেনাদের বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। ফাইল ছবি

মুক্তিযোদ্ধারা পাক সেনাদের বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। ফাইল ছবি

১৯৭১ সালের ১১ আগস্ট দিনটি ছিল বুধবার। ৯ জুন প্রথম বার হামলার পর মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসী গেরিলা যোদ্ধারা এদিন দ্বিতীয়বারের মত ঢাকার বিলাসবহুল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ভবনের ভেতরে টাইম বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বিদেশীসহ ২০ জনের বেশি আহত হয়। এর মধ্যে ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়, এদের মাঝে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

৩ দিন অপেক্ষার পর কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও তার সহযোদ্ধারা সিরাজকান্দি ঘাটে ভেড়া পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অস্ত্র বোঝাই ৭টি জাহাজ আক্রমণ করে। এতে জাহাজগুলো বালুচরে আটকে যায় এবং ২০/২৫ জন খানসেনা নিহত হয় ও অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। জাহাজের লগবুগ ও মুভমেন্ট অর্ডারের হিসাব অনুসারে জাহাজগুলোতে এক লাখ ২০ হাজার বক্সে একুশ কোটি টাকার নানা ধরনের চাইনিজ, বৃটিশ ও মার্কিন অস্ত্রশস্ত্রের হিসাব পাওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধারা এ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে এবং নেয়া সম্ভব নয় এমন প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ জ্বালিয়ে দেয়। এ যুদ্ধে ৩ জন মুক্তিসেনা শহিদ হন।

মেজর সালেকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা সড়কে রসুল গ্রামের কাছে একটি রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ২০ জন রাজাকার নিহত হয় ও ৩০ জন বন্দী হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজের অবস্থানে ফিরে আসে। ৭ নম্বর সেক্টরের মেহেদিপুর সাব-সেক্টরে সুবেদার মেজর মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কলাবাড়ি অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এতে দু’পক্ষে দেড় ঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। অবশেষে পাকসেনারা কলাবাড়ি অবস্থান ত্যাগ করে কানসাটে চলে যেতে বাধ্য হয়। কলাবাড়ি মুক্তিবাহিনীর পূর্ণদখলে আসে।

মেজর এম এ  মঞ্জুর ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার পদে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হন। মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে সেনা সদর দপ্তরে বদলি করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর প্রাদেশিক আমীর গোলাম আযম এক বিবৃতিতে বলেন, “তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থকরা ইসলামের দুশমন। তারা ইতিমধ্যে বহু ঈমানদার ও দেশপ্রেমিককে হত্যা করেছে।” তিনি আরো বলেন, “দু’একজন নেতাকে হত্যা করে পূর্ব পাকিস্তানে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।”

নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস এবং পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি নুরুল ইসলাম ও পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ঢাকার সংবাদপত্রে প্রদত্ত একযুক্ত বিবৃতিতে জনৈক মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মোস্তফা আল-মাদানীর মৃত্যুর জন্য কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারীকে দায়ী করে বলেন, দুষ্কৃতকারীদেরকে এর পরিণাম ভুগতেই হবে।

পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ‘বাংলার জল্লাদ’ খ্যাত টিক্কা খান ডা. এ এম  মালিক ও জাতিসংঘের উদ্বাস্তু কমিশনের প্রতিনিধি জন কেলীসহ রংপুর-দিনাজপুর এলাকা সফর করেন। রংপুর শান্তি কমিটির বৈঠকে টিক্কা খান রাজাকারদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “রাজাকাররা না থাকলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতো না।”