৭১ এর এই দিনে | mssangsad.com

৭১ এর এই দিনে

২২ জুন ১৯৭১ এই দিনে

এদিন নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।  ‘পাকিস্তানে মার্কিন অস্ত্র প্রেরণ’ শিরোনামে সেই প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক টাইমসের বিশেষ প্রতিনিধি ট্যাড সুলচ বলেন, ‘মার্কিন সরকারের আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পাকিস্তানের পতাকাবাহী একটি মালবাহী জাহাজ মার্কিন সমরাস্ত্র নিয়ে আজ নিউইয়র্ক থেকে করাচীর উদ্দেশে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, তারা প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, এই সংক্রান্ত প্রমাণ নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে আছে বলে দাখিল করার পর একজন নাম প্রকাশ্য না করা সত্ত্বেও স্বীকার করেন, শুধু এটিই নয় যুক্তরাষ্ট্রের  আরও একটি জাহাজ পাকিস্তানের পথে আছে। তবে, জাহাজের অস্ত্রের চালানটি পাকিস্তানকে দেওয়া সামরিক সহায়তা নয়, বরং পাকিস্তান সরকার এইসব অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিউইয়র্ক টাইমসকে জানায়, এসব অস্ত্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্বৃত্ত সরবরাহ থেকে এসেছে। তবে, নিউইয়র্ক টাইমস ‘বৈদেশিক সামরিক বিক্রি তো এই সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ’ এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে কোন মন্ত্রণালয়ই সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘পাকিস্তানে এ ধরনের সমরাস্ত্র প্রেরণে তিন মাস আগের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কার্যকর করা হবে, তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার বিভ্রান্তি ছিল এবং এই অস্ত্র পাঠানো আমার মতে স্পষ্টতই অসাবধানবশতভাবে হয়েছে।’

‘পদ্মা’ নামের যে জাহাজটি নিউইয়র্ক থেকে পাকিস্তানের পথে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেই জাহাজে আটটি যুদ্ধবিমান, প্যারাসুট, কয়েক হাজার  পাউন্ড ওজনের খুচরা যন্ত্রাংশ, ট্যাংক, অস্থায়ী বাঙ্কারসহ সামরিক বাহিনীর যানবাহনের নানা পণ্য ছিল। এই জাহাজ আগস্ট মাস নাগাদ পাকিস্তানে পৌঁছার কথা রয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে আসে যে, পাকিস্তানের ‘সুন্দরবন’ নামের একটি জাহাজ গত ৮ মে নিউইয়র্ক থেকে করাচী বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ওই জাহাজে ট্যাংক, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও সমরাস্ত্র আছে। ওই জাহাজ আগামীকাল করাচী বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। মার্কিন সরকার পাকিস্তানকে সব প্রকার সামরিক সহায়তা বন্ধ ও সমরাস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধ বিমান ও প্যারাসুট বিক্রি করেছে। আমরা সবাই জানি, এই অস্ত্র কোথায় ব্যবহার হবে। পূর্ববঙ্গ থেকে প্রায় ৬০ লাখ শরণার্থী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচিত ছিল অন্তত শরণার্থীদের কথা ভেবে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রই স্বয়ং গণহত্যার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।

নিউইয়র্ক টাইমস আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে ‘পদ্মা’ এবং ‘সুন্দরবন’র যাত্রা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন,  ‘সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতিতে রয়েছে যে, পাকিস্তানের কাছে সবধরনের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি নিষিদ্ধ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী অন্তত দুই লাখ পূর্ব পাকিস্তানী নাগরিক এই পর্যন্ত নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ষাট লাখ মানুষ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে ২৫ মার্চের পর পাকিস্তানের জন্য কোনো সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ব্যাপারে তারা অবগত নয়। তবে, এরকম কিছু পাঠানো হলে তা ঘোষিত নীতির পরিপন্থী হবে।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের জানিয়েছে যে, ২৫ মার্চের পর বৈদেশিক বিক্রয় কার্যক্রমের আওতায় কোনো ধরনের সামরিক সরঞ্জাম “পাকিস্তানের সরকার বা পাকিস্তান সরকারের কোনো প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের আজকের আলোচনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই নীতি মেনে চলার ব্যাপারে “পুনঃনিশ্চয়তা” দিয়েছে।’ 

নিউইয়র্ক টাইমস এই প্রতিবেদনে আরও বলে, আমাদের নির্ভরযোগ্য সূত্র আরও বলেছে, মার্কিন সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীও পাকিস্তানের কাছে আরও বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে। ‘পদ্মা’ ও ‘সুন্দরবন’ জাহাজের নিউইয়র্ক প্রতিনিধি তথা ইস্ট ওয়েস্ট শিপিং এজেন্সির মুখপাত্র বলেন, পদ্মা জাহাজটি এই যাত্রার আগেই পাকিস্তানের জন্য প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম বহন করেছে। এর আগে, এই জাহাজ নিউইয়র্ক বন্দর থেকে সামরিক সমরাস্ত্র নিয়ে গত ২২ মার্চ করাচীতে পৌঁছেছিল। এই সামরিক সরঞ্জামগুলো মূলত ২৫ মার্চে অপারেশন সার্চলাইটে ব্যবহৃত হয়েছে। আমাদের মতে, এই দুটো জাহাজ ছাড়াও আরও বেশ কিছু জাহাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সমরাস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানে যেতে পারে।

২২ জুন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আজ বড় লক্ষ্য হবে মাতৃভূমিকে সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত করে আমাদের ৬০ লাখ মানুষকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা। দলমত নির্বিশেষে আজ বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রতিটি মানুষ বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তারা বুকে তুলে নিয়েছেন ৬০ লাখ ছিন্নমূল মানুষকে। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ এই বন্ধুত্বের কথা চিরদিন মনে রাখবেন। চিরকাল আমরা বন্ধুত্বের হস্ত প্রসারিত করে রাখব।’ 

ঢাকায় এদিন

২২ জুন ঢাকায় পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসন এক নির্দেশিকা জারি করে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত স্লোগান, দেয়াল লিখন, নির্বাচনী প্রতীক মুছে ফেলতে হবে। নয়তো এসব প্রতীক ও লেখা দেখে পরিচয় খুঁজে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’ 

২২ জুন ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্দলীয় সদস্য এস.বি জামান বলেন, ‘বিদ্রোহ দমনে আমাদের সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জাতি যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে। দেশে সবপ্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে শান্তি কমিটি ও ভিজিলেন্স কমিটির আরও বহু শাখা গঠন করা দরকার।’ 

২২ জুন নেজামে ইসলাম পার্টির প্রধান মাওলানা এ. কে. শামসুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমানে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। ক্ষমতা হস্তান্তর হলে আবার বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। সামরিক বাহিনীর হাতেই দেশের ক্ষমতা আপাতকালীন বলবত থাক।’

ভারতে এদিন

২২ জুন দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সভাপতিত্বে নব কংগ্রেসের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে নব কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বেশ কয়েকজন সাংসদ ইন্দিরা গান্ধীকে পূর্ববঙ্গের বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে হস্তক্ষেপ করার কথা বলেন। তারা বলেন, পূর্ব বাংলার মানুষ এখন আপনার দিকে চেয়ে আছে। আপনার অবস্থানই পূর্ব বাংলার সংকট নিরসনে কার্যকর সাহায্য করবে। 

২২ জুন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং পূর্ববঙ্গের শরণার্থী সমস্যা নিরসনে এবং গণহত্যা বন্ধে ভারতের অবস্থান জানাতে ছয়টি দেশ সফর শেষে দিল্লি ফিরে আসেন। বিমানবন্দরে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে। এসময় তিনি বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র এমন ধরনের কোনো কাজ করে থাকে, তবে তা তাদের নিজেদের চুক্তিভঙ্গই করা হবে। একাধারে প্রমাণ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আদৌ কোনো সমাধান চেয়েছে বলে মনে হয় না।’

২২ জুন লোকসভার সদস্য কাশ্মীরের সৈয়দ আহমেদ আগা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘পাকিস্তানের ভাগাভাগি কিন্তু মুসলিম বা ইসলামবিরোধী নয়। বরং পাকিস্তান এখন যা করছে, যেভাবে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে তা সরাসরি ইসলামবিরোধী। এই গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের বৈধতা কবে ইসলাম তাদের দিয়েছে? অবশ্যই পাকিস্তানের পৈশাচিকতা ও নিপীড়ন থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়ে সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে।’  

২২ জুন আদি কংগ্রেসের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল শরণার্থীদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। এসময় তারা বলেন, ভারত সরকার ঠিকমতো ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, তারা গণহত্যা বন্ধে ও শরণার্থীদের বিষয়ে জাতিসংঘের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার সমালোচনা করেন। 

২২ জুন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায় ও চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল রেডিও আকাশবাণীতে ভাষণ দেয়। অজয় মুখোপাধ্যায় তার ভাষণে শরণার্থীদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে দেখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সবাই এখন সমস্যায় আছে। বিশেষ করে শরণার্থীদের ঢল নামায় প্রতিটি এলাকায় এখন বিপর্যস্ত অবস্থা। শরণার্থীরা আমাদের ভাই। তাদের সঙ্গে আমরা যেকোনো ধরনের বিদ্বেষ না পোষণ করি। আমরা মিলিতভাবে এই সংকট দূর করব।

পাকিস্তানে এদিন

২২ জুন পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা পর্যবেক্ষণে ও পূর্ব পাকিস্তানে চলমান সংকট নিরসনে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে করাচী এসে পৌঁছায়। চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন, লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী আর্থার বটমলি, লেবার পার্টির আরেক এমপি রেজিনল্ড প্রেন্টিস। কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ও সাবেক ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস র‌্যামডেন ও এমপি টবি জেসেল।

করাচি বিমানবন্দরে পৌঁছার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিনিধি দলের নেতা ও ব্রিটিশ এমপি আর্থার বটমলি বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ত্রাণ সরবরাহ করতে আমরা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনা করব। পূর্ব পাকিস্তানে ত্রাণ সহায়তা এখন আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। সংকট নিরসনে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন বৈঠক করব।’ পশ্চিম পাকিস্তান সফর শেষে তাদের ঢাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে।

২২ জুন পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি আবদুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘শাসনতন্ত্র তৈরির আগে আওয়ামী লীগ ও দেশবিরোধী সব দলকে নির্বাচন থেকে তো বটেই, রাজনৈতিক দল হিসেবেও বহিষ্কার করতে হবে। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। ৬ দফার নামে পাকিস্তানকে বিভক্তি করার চেষ্টা এরাই করেছিল। এদের আসল চিত্র আজ জনগণের কাছে প্রকাশিত হয়ে গেছে। নতুনভাবে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তবে এই নির্বাচন আয়োজনের আগে প্রতিটি কেন্দ্র শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ করতে হবে।’

দেশব্যাপী প্রতিরোধ যুদ্ধ

২২ জুন কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর রাজাপুর ঘাঁটির ভেতর গোপন পথে প্রবেশ করে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ অভিযানে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। অপরদিকে ১৫ জন হানাদার সেনা হতাহত হয়।  

এদিন খুলনার বৈকরি ও যশোরের বেনাপোলে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সীমান্ত ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়।  

২২ জুন বগুড়ার মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পাঁচবিবি ঘাঁটির ওপর তুমুল আক্রমণ চালায়। এতে হানাদারদের প্রচুর ক্ষতি হয়।