৭১ এর এই দিনে | mssangsad.com

৭১ এর এই দিনে

০৯ মে ১৯৭১ এই দিনে

* কুমিল্লার বগাদিয়া নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মদ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। প্রায় ৪-৫ ঘন্টাব্যাপী উভয় পক্ষের আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ চলে। অবশেষে পাকসেনারা হতাহত সহযোদ্ধাদের নিয়ে চৌমুহনীর দিকে পিছু হটে।

* পাক হানাদার বাহিনী দিনাজপুরের অমরখানার জগদল এলাকায় দৃঢ় প্রতিরক্ষা ঘাঁটি স্থাপন করে। অপরদিকে মুক্তিবাহিনী ভজনপুর মূল ঘাঁটি থেকে ৩/৪ মাইল দূরে মাগুরমারী ও ময়নাগুড়ি নামক স্থানেদুটি ছোট ঘাঁটি স্থাপন করে।

* ফরিদপুরের কোটালীপাড়া থানায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধা দল তীব্র আক্রমণ চালায়। থানায় অবস্থানরত সশস্ত্র পুলিশ ও মিলিটারি সৈন্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিবর্ষণের মুখে লড়াই করার সাহস হারিয়ে ফেলে এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে থানা ছেড়ে প্রাণ নিয়ে পালায়।

* মুক্তিবাহিনীর ৬নং সেক্টরের ভজনপুর সাব-সেক্টরের দায়িত্বে সুবেদার মেজর কাজিমউদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হন ক্যাপ্টেন নজরুল।

* ঢাকা জেলার নওবাবগঞ্জে পাকহানাদার বাহিনী প্রবেশ করেই বর্ধনপাড়া ও কলাকোপা গ্রামে হামলা চালায়। স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় হানাদাররা গ্রামের লোকজনকে নির্বিচারে হত্যা করে ও বাড়িঘরগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়। বর্বরদের পৈশাচিক হামলায় ২০ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হয়।

* মুক্তিবাহিনীর ২নং সেক্টরে বিলোনিয়া সাব-সেক্টর প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সাব-সেক্টরের দায়িত্বে ইমাম নিযুক্ত হন ক্যাপ্টেন জাফর।

* পাকসেনা ও রাজাকারদের একটি কনভয় ৫ ট্রাক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদসহ পত্নীতলা থানার হরতকিডাঙ্গা গ্রামের কাছে পৌঁছলে মেজর নাজমুলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের গতি রোধ করএতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে । এ সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর কনভয় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ তাঁদের হস্তগত হয় ।

* কক্সবাজারে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায় । সারাদিনব্যাপী তুমুল যুদ্ধ শেষে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয় ।

* জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য জামায়াত নেতা মওলানা এ.কে.এম ইউসুফের নেতৃত্বে খুলনা কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি গঠন করা হয় । শান্তি কমিটি প্রশাসনকে সাহায্য করার জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করে ।